দলীয় কর্মসূচি কিংবা দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা অথবা দলীয় প্রধানের জেল- সব ইস্যুতেই নির্বিকার নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। কোনো ইস্যুতেই তাদের ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানাতেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি সংগঠনটি। বরং নেতারা নীরবে তা হজম করে যাচ্ছে।
জানা গেছে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানাতে দলীয় কর্মসূচি তো দূরের কথা, একটি বিবৃতি দিয়েও প্রতিবাদ করেনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। সবমিলিয়ে একটি প্রতিক্রিয়াহীন সংগঠনে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। এমন প্রেক্ষাপটে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলছেন, “নারায়ণগঞ্জ বিএনপি এখন জেগে জেগে ঘুমাচ্ছে। যা চরম অসম্মানজনক ও লজ্জার।”
উল্লেখ্য, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা আখ্যায়িত করায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। কিন্তু এই মামলা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানায় কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর।
শুধু তাই নয়, এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সারাদেশে র্যালিসহ দু`দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় বিএনপি। সেই কর্মসূচিতেও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ছিল নীরব। ঘরের ভেতরে আবদ্ধ কর্মসূচির মাধ্যমেই তারা সীমাবদ্ধ ছিল।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলেন, “ঢাকার নিকটস্থ জেলা হিসেবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার কথা ছিল তা দেখাতে পারেনি নেতারা। বিষয়টি লজ্জাজনক। এমনকি দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাতেও পর্যন্ত তারা নীরব। এখন মনে হচ্ছে নেতাদের কাউন্সিলিং দরকার। কেন্দ্রের প্রতিটি নেতাই এই সংগঠনটির উপরে বিরক্ত।”
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির রাজনীতি এখন ১২ ভাগে বিভক্ত। যে বিভক্তি না কাটিয়ে ওঠা পর্যন্ত তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।