অবৈধ সম্পদ অর্জন, বিদেশে অর্থ পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দেসহ ১১ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে যুবলীগের কথিত নেতা ও ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীমকে (জি কে শামীম) সহযোগীতার অভিয়োগও খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।সূত্র জানায়, দুদকের পরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-২) সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের অনুসন্ধান টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। আগামী ১৮, ১৯ ও ২৩ ডিসেম্বর— এই তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।
বাকিরা হলেন গণপূর্ত অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিন ও আবদুল মোমেন চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমা, মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ, মো. ফজলুল হক, আবদুল কাদের চৌধুরী, আফসার উদ্দিন, মো. ইলিয়াস আহমেদ ও ফজলুল হক মধু এবং গণপূর্ত সার্কেল-৪-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর সরকার।
দুদক সূত্র জানায়, ১১ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজস করে গণপূর্তের ঠিকাদারি, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন জি কে শামীম। আর এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে দুদকের কাছে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ সেপ্টেম্বর নিকেতন এলাকা থেকে গ্রেফতার হন জি কে শামীম। ৩০ সেপ্টেম্বর সহযোগীদেরসহ তার সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ওই দিন থেকেই সংস্থার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্ব ৭ সদস্যের অনুসন্ধান দল কাজ শুরু করে। ২১ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন তার বিরদ্ধে মামলা করেন। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীমের সহযোগী হিসেবে যাদের নাম বেরিয়ে আসে তাদের মধ্যে গণপূর্তের এই ১১ প্রকৌশলীরও নাম আছে।