একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামীকে ২২টি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। নিবন্ধন ও প্রতীক হারিয়ে এবারের নির্বাচনে তারা ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করছেন। তবে নির্বাচনী প্রচারে দলীয় পরিচয় ঘুণাক্ষরেও তুলছেন না প্রার্থীদের অনেকেই। বরং নির্বাচনী প্রচারণায় তারা নিজেকে কখনো ২০ দল, কখনো ২৩ দল আবার কখনো ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী মাঠে জামায়াতের গ্রহণযোগ্যতা ও অজনপ্রিয়তা বিবেচনা করে প্রার্থীরা নিজেদেরকে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দেয়া থেকে বিরত থাকছেন।
সূত্র বলছে, ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও জামায়াত প্রার্থী শফিকুর রহমান তার নির্বাচনী প্রচারে দলীয় পরিচয় ঘুণাক্ষরেও তুলছেন না। তিনি একেক সময় একেক পরিচয় দিচ্ছেন। যা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি দানা বেঁধেছে। এমন তালিকায় রয়েছেন- দিনাজপুর-১ আসনে মোহাম্মদ হানিফ, নীলফামারী-২ আসনে মনিরুজ্জামান মন্টু, গাইবান্ধা-১ আসনে মাজেদুর রহমান সরকার, ঝিনাইদহ-৩ আসনে অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২ আসনে আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ আসনে অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ, খুলনা-৫ আসনে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সাতক্ষীরা-২ আসনে মুহাদ্দিস আবদুল খালেকসহ একাধিক প্রার্থী। যারা প্রচারণায় দলের পরিচয় আড়াল করতে চেষ্টা করছেন।
এদিকে জামায়াতের এসব প্রার্থীরা গত ১০ ডিসেম্বর ভোটের প্রচার শুরু থেকে বিভিন্ন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারণার অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নানা ছবি বা ভিডিও আপলোড করছেন। সেখানেও তারা জামায়াত পরিচয় ঊহ্য রাখছেন।
এ প্রসঙ্গে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক জামায়াতে ইসলামীকে বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনের জন্য হুমকি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে এর প্রভাব এড়াতেই হয়তো তারা নিজেদের দলের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে চেষ্টা করছেন। এছাড়া, বিগত সময়ে জামায়াত কর্তৃক বাংলাদেশের মানুষ যতটা নিপীড়নের শিকার হয়েছে তা স্বীকৃত সত্য। ফলে জামায়াত পরিচয়ে ভোট চাইলে তাতে বিশেষ কিছু ফল আসবে না বলেই হয়তো এমন কৌশল অবলম্বন করছেন জামায়াতের প্রার্থীরা।
প্রার্থীদের ‘জামায়াত’ পরিচয় গোপন করার বিষয়ে জানতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করলেও এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি তারা।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.