জামায়াতের সাথে পাকিস্তান ও জঙ্গি সংগঠনগুলোর যোগাযোগ থাকার কারণে জনসমর্থন ও ভাবমূর্তির দিক থেকে একদম তলানিতে তাদের অবস্থান। শুধু তাই নয়, দেশের সাধারণ জনগণ ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে একাত্তরে যুদ্ধাপরাধীদের এই মদদদাতাদের। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষের ছায়াতল থেকেই মনোনয়ন পেয়েছে জামায়াত। আর এতেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টকে। যেখানে সারা বিশ্ব জঙ্গি দমনে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেখানে বিএনপি জঙ্গির মদদদাতাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।
জামায়াত নিয়ে বিপাকে আছে ড. কামালও। বিএনপিতে যুক্ত হওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, জামায়াত যদি বিএনপিতে থাকে তাহলে তার দল ঐক্যফ্রন্ট কিছুতে সেই দলের সাথে জোট বাঁধবে না। তার উপর সাঈদী পুত্র শামীম সাঈদীকে বিএনপি মনোনয়ন দেয়াতে বিব্রত হয়েছেন তিনি। অনেক আগে থেকেই জামায়াতের প্রতি হিংসা ছিল প্রবীণ এই নেতার। পরে দেখা যায় ঐক্যফ্রন্ট জোট বেঁধেছে ঠিকই কিন্তু কামাল আর নেই। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রশ্নের তীরের বানে ভেসে তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। এটিও তার নির্বাচনে অংশ না নেয়ার একটি কারণ।
ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির সাথে যুক্ত হওয়ার সাথে কিছু শর্ত বা তাদের কিছু মতামত ব্যক্ত করে। তাতে বলা হয়েছিল, বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে হবে। জামায়াত মৌলবাদী একটি দল। তার ওপর বিএনপি ঐক্যফ্রন্টকে তাদের মন মতো আসন না দেয়াতে মনক্ষুন্ন হয়েছে কামালের। যেহেতু তিনি ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা সেহেতু ভবিষ্যতে বিএনপির সাথে ঐক্যফ্রন্টের এই ঐক্য আর দেখা নাও যেতে পারে।