বান্দরবান অফিসঃ-অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসায় গত মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্যের নেতারা বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মতো নেতারা উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না কোনো সিনিয়র নেতা। জানা গেছে, বৈঠকে ড. কামাল হোসেন থাকবেন না জানার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি।
বি. চৌধুরীর বাসার যে কক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তার পাশের কক্ষেই বি. চৌধুরীর ছেলে মাহী বি. চৌধুরীর একটি ডিভাইস ডিটেক্টর ছিল। হঠাৎ সেই ডিভাইস সেন্সরে ধরা পড়ে, বাসায় কারও ফোন চালু আছে। বিষয়টি লক্ষ্য করে মাহী বি. চৌধুরী বৈঠকস্থলে গিয়ে বি. চৌধুরীকে ইশারা করে ডাকেন এবং পরে আড়ালে নিয়ে বিষয়টি জানান।
এ কথা জানতে পেরে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত সকলকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফোন জমা রাখতে বলেন। সবাই নিজ নিজ ফোন জমা রাখলেও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ফোন জমা না দিয়ে বলেন, আমি ফোন আনিনি। পরবর্তিতে তার কাছ থেকে ফোন পাওয়া যায় এবং দেখা যায় তার মোবাইল ফোন থেকেই হোয়াটস-অ্যাপের মাধ্যমে লন্ডনে কানেক্ট করা হয়েছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে।
অনেক দিন ধরেই তারেক জিয়া লন্ডনে অবস্থান করছেন। লন্ডনে ফোন করার অর্থ হলো সরাসরি বৈঠকের সকল আলাপ-আলোচনা ও তথ্য তারেক জিয়াকে ফোনের মাধ্যমে শুনানো। আর এ ঘটনা বৈঠকে জানাজানি হয়ে গেলে বাকবিতণ্ডা বেঁধে যায়। ফলে স্থগিত করা হয় বৈঠক।
সূত্র জানায়, বৈঠক চলাকালেই খবর আসে লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে বৈঠকের আপডেট যাচ্ছে সরাসরি। এ নিয়ে শুরু হয় হৈ চৈ। বি. চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সূত্র আরও জানায়, বি. চৌধুরী এ বিষয়টি নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বৈঠক স্থগিত করার প্রস্তাব দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রধান আ স ম আবদুর রব।
বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে মাহী বি. চৌধুরী বিএনপির এমন কাজের জন্য তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘এই ধরণের কর্মকাণ্ডের ফলে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে বিএনপিকে এর দায়ভার নিতে হবে’।
জোট গড়ার আগেই এমন সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং অবিশ্বাস যুক্তফ্রন্টের জন্য সামনের দিনগুলো আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং করে তুলবে।