শিরোনাম: নাইক্ষ্যংছড়িতে ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত প্রবারনা পূর্নিমা ও কঠিন চীবর দান উপলক্ষে স্থানীয় খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকদের মতবিনিময় ও শুভেচ্ছা উপহার বিতরন প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে আর্থিক অনুদান বিতরন করলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বান্দরবানে নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করলো বান্দরবান সেনা জোন বান্দরবানে বিশেষ টাস্কফোর্স এর অভিযান দুর্গাপূজা অশুভশক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তিতে রূপান্তরিত করবেঃ উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা লামায় মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা

জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীঃ সরকারি শিশু পরিবারে শিশুদের উৎসব


প্রকাশের সময় :১৭ মার্চ, ২০২২ ৬:২৮ : অপরাহ্ণ 315 Views

জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।শুধু একটি নাম নয়,একটি দেশের ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে এই একটি নামেই।মানুষকে ভালোবেসে তিনি হয়েছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু’।শত বছর শোষণ আর নিপীড়নের বেড়াজালে আবদ্ধ একটি জাতিকে মুক্তির দিশা দেখিয়ে এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা।তাই তিনি জাতির পিতা।আজ ১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর সেই মাহেন্দ্রক্ষণে সারা বিশ্বের কোটি কোটি বাঙ্গালি আনন্দের বর্নিল উৎসবে মেতে উঠেছে।জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত সরকারি শিশু পরিবারে অধ্যয়নরত শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার,সকল শিশুর সমান অধিকার এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও সমাজসেবা বিষয়ক কনভেনিং কমিটির আহবায়ক তিং তিং ম্যা এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য ক্য সা প্রু মার্মা।অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ সদস্য সত্য পাঞ্জি ত্রিপুরা,সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক উর্বশী দেওয়ান,সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ফিলিপ ত্রিপুরা,স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর অজিত কান্তি দাশ,বান্দরবান প্রেসক্লাব সদস্য কৌশিক দাশগুপ্ত,
নারী কাউন্সিলর দিপিকা তঞ্চঙ্গ্যা রানী,প্রধান শিক্ষক রহিম ত্রিপুরাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক সাংবাদিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।সরকারি শিশু পরিবারের সহকারী শিক্ষক মংচাচিং চাক (তুষার) এর সঞ্চালনা আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরকারি শিশু পরিবারের উপ তত্ত্বাবধায়ক সত্যজিৎ মজুমদার মানু।অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপস্থিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় এবং পরে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিশু পরিবারের শিশুদের নিয়ে বিশেষ কেক কাটেন অতিথিরা।আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা বলেন,আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী।আমাদের জাতীয় জীবনে এই মহান লগ্নে আমরা বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর ভালোবাসায় স্মরণ করছি বাঙালির জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একই সঙ্গে আমরা স্মরণ করছি ১৫ই আগস্ট ঘাতকের আঘাতে শাহাদাত্বরণকারী জাতির পিতার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের।বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের এই দিনে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করে, মাত্র ৫৫ বছর জীবনের পরিসরে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাঙালি জাতির জন্য বাংলাদেশ নামে জাতি রাষ্ট্র।তিনি কেবল এই রাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠাই করেননি,বীরের জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন বিশ্ব দরবারে।এজন্যই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অভিন্ন ও অবিচ্ছেদ্য সত্ত্বা।তিনি ছিলেন কারো ভাষায় রাজনীতির কবি,হিমালয়সম ব্যক্তিত্ব আবার কারো ভাষায় শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক।বাঙালি জাতির জীবনে তাই জাতির জনকের জন্মদিনে ত্যাগ-তিতিক্ষা ও দীক্ষা নেওয়ার দিন,বাংলার দুঃখী মানুষকে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্ত করার শপথ নেওয়ার দিন,আদর্শবাদী ও আত্মত্যাগী রাজনীতিতে দীক্ষা নেওয়ার দিন।১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বিশ্বাসঘাতক খুনিদের নির্মম বুলেটে তার মহাপ্রাণ ঘটলেও আদর্শ মুজিবের মৃত্যু নেই।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন অপূর্ব সাংগঠনিক ক্ষমতার অধিকারী ও রাজনীতিবিদ।যিনি সমগ্র দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতার লক্ষ্যে।তিনি ছিলেন অসাধারণ বাগ্মী, তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণ সমগ্র জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার প্রেরণা দিয়েছিল ও উদ্দীপ্ত করেছিল।এমন একজন রাষ্ট্র নায়ক যার আবেদন দেশ ও কালের গন্ডি পেরিয়েছে।তিনি গণমানুষের এমনি এক নিকটজন ছিলেন,যার উপর জনগণ আস্থা রাখতে পারতো এবং জনগণের উপরও বঙ্গবন্ধুর আস্থা ছিল প্রবল।তাই আজ তার জন্মবার্ষিকীতে মুজিব আদর্শে দেশ,জাতি ও সমাজ গড়ার পথে আমরা উদ্দীপ্ত হওয়ার শপথ গ্রহণ করি।মহান নেতার এই জন্মদিন উপলক্ষে আমরা শিশু পরিবারের শিশুদের জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছি।অনুষ্ঠানে কুইজ,রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১৮ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।পরে অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য তিং তিং ম্য শিশু পরিবারের সকল শিক্ষার্থী,সাংবাদিক ও শিশু পরিবারের কর্মকর্তা,শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন।এসময় তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থীদের খোঁজ নেন এবং তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।প্রসঙ্গত,১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা।তার জন্মবার্ষিকীর এই মহালগ্নে জাতির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বান্দরবান জেলায় আয়োজিত নানা কর্মসূচির প্রতিটি খবর,প্রতিটি ছবি,প্রতিটি মুহুর্ত সিএইচটি টাইমস ডটকম সগৌরবে প্রকাশ করবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!