বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনের কাছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, ভেন্টিলেটরসহ চিকিৎসা সরঞ্জামের সহায়তা চেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ঈ’র সঙ্গে টেলিফোনে এ অনুরোধ জানান। আজ বুধবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটি নির্ধারিত করা হয়েছে। এ হাসপাতালের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর অনুরোধ করেন তিনি।
এ ছাড়াও আব্দুল মোমেন একটি চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল পাঠানোরও অনুরোধ করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। তিনি বলেন, চীনা চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানদের অভিজ্ঞতা রয়েছে করোনা রোগীর সেবা দেওয়ার। এ রকম একটি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার দল এ দেশে এলে তারা চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানের প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন।
এ ছাড়া তিনি চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশকে ভেন্টিলেটর দিয়ে সহায়তার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঋণপত্র বা লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) সময়সীমা এক বছর করার জন্য অনুরোধ জানান।
এসব অনুরোধের প্রেক্ষিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ঈ’র ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। ওয়াং ঈর বলেছেন, চীন বাংলাদেশকে সব রকম সহায়তা দেবে। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ে টেলিফোনে ৪৫ মিনিট কথা হয়েছে বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট ও পিপিই পাঠিয়েছে চীন।