চিকিৎসায় অবহেলা, নেতাদের তাচ্ছিল্য এবং অনাহারে-অর্ধাহারে শেষ পর্যন্ত বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মৃত্যুবরণ করেছেন ‘বিএনপি পাগল’ খ্যাত রিজভী হাওলাদার। শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১০টা ২০ মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মৃত্যু হয় রিজভী হাওলাদারের।
জানা গেছে, বিএনপি কার্যালয়ে ঘোরাঘুরি করা পাগল রিজভীর মৃত্যুতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও বিএনপির আবাসিক নেতা হিসেবে পরিচিত রিজভী আহমেদের সমালোচনায় মেতেছেন বিএনপি কর্মীরা। তারা বলছেন, রিজভী আহমেদ ও সিনিয়র নেতাদের অবহেলা এবং অবমাননায় তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছেন। যিনি বিএনপির জন্য ছিলেন একজন নিবেদিত কর্মী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির রাজধানী কেন্দ্রিক সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন রিজভী হাওলাদার। পদ না থাকলেও দলের প্রতি তার ভালোবাসা ছিলো অনেক। যার কারণে তিনি বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে দীর্ঘদিন পল্টন কার্যালয়ে অনশন পালনও করেছেন। কিন্তু রিজভী হাওলাদারের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। এমনকি পল্টন কার্যালয়ে বছরের পর বছর থাকলেও রিজভী আহমেদও ‘বিএনপি পাগল’ এই কর্মীর কোনো খোঁজই রাখতেন না। নিজেরা উদরপূর্তি করলেও রিজভী হাওলাদারকে একবেলাও খাওয়াননি বিএনপির নেতারা। বলা হচ্ছে, রিজভীকে অবহেলা করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেন বিএনপির নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিএনপি কর্মী বলেন, নেতাদের জন্যই মরতে হলো রিজভীকে। সময় মতো তাকে চিকিৎসা দেওয়া হলে অবশ্যই সে বাঁচতো। কিন্তু নেতারা সেটা করেননি। বরং রিজভীকে সবসময় তাচ্ছিল্য করা হতো। এখন তার মৃত্যুর পর নেতারা মায়া কান্না শুরু করেছেন। এর পুরোটাই অভিনয় ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি আরো বলেন, দলের জন্য নিঃস্বার্থভাবে যে কর্মীরা কাজ করেন তাদের যদি এভাবে মরতে হয়, তাহলে বিএনপি খুব শিগগিরই বিলীন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন কর্মীরা।