চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসে চালু হয়েছে ইলেক্ট্রনিক ডেলিভারি সিস্টেম (ই-ডিও)। গত ১ এপ্রিল থেকে শতভাগ ই-ডিও চালু হয়। এর আগে ১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক এ পদ্ধতি চালু করে ব্যবহারকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শতভাগ ই-ডিও চালু হওয়ায় সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা ঘরে বসেই শিপিং এজেন্ট ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) ইস্যু করতে পারবেন। এতে ভোগান্তি কমার পাশাপাশি আর্থিক ও সময় সাশ্রয় হবে।
১ ডিসেম্বর থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৩৬৯ ই-ডিও ইস্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান। গতকাল সকালে বন্দর প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি। শিপিং এজেন্ট, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ই-ডিও চালুর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি গতিশীল হবে উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করছে। বিভিন্ন দপ্তরে
অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়েছে।চট্টগ্রাম বন্দরেও ধাপে ধাপে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।শুরুতে কয়েকটি শিপিং এজেন্ট নিয়ে পরীক্ষামূলক চালু করা হয়েছিল।১ এপ্রিল থেকে শতভাগ চালু হয়। ব্যবসায়ীরা এখন সহজেই পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিস্টেমটি পুরোদমে চালু হলে শিপিং ও সিএন্ডএফ এজেন্ট অফিসে যাওয়া, লাইন ধরা ও কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন হবে।এরই মধ্যে নতুন অনলাইন সিস্টেমটি পুরোদমে চালু করতে শিপিং এজেন্ট,সিএন্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে বন্দর।
কর্মশালায় বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ,বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন,চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।