গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইস্যুতে কিছু কূটনীতিকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক, হতাশামূলক ও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তাদের করা মন্তব্যে নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার ইউএনবিকে বলেন, ‘তাদের কিছু বলার থাকলে কূটনৈতিক নিয়ম মেনে আমাদের জানাতে পারতেন।’
ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ সময় কাটানোর কালে তিনি সেখানে কূটনীতিকদের কাছ থেকে এ জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি কখনও দেখেননি।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে আমাদের মতো করে চালাচ্ছি। আমাদের কী করতে হবে তা আমরা জানি। আমি খুবই বিরক্ত। এটা খুবই হতাশাজনক। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মোটেই ভালো কিছু নয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দায়িত্ববোধ না থাকলে স্বাধীনতার সম্মান দেয়া যায় না।
তিনি বলেন, কূটনীতিকরা তৈরি পোশাক রপ্তানির আদেশ বাতিল, বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের সুরক্ষা ও সহায়তা এবং কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য তাদের চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে কিছু বললে বাংলাদেশ খুশি হত।
কোভিড-১৯ এর কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বকে যখন হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে তখন নির্দিষ্ট বিষয়ে একই মন্তব্য করার জন্য অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ড. মোমেন।
কয়েকটি গণমাধ্যমে তাদের এমন মন্তব্য কাভারেজ দেয়ার বিষয়ে নারাজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের চর্চা অন্যান্য দেশে দেখা যায় না।
এগুলোর পেছনে তাদের কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না এমন প্রশ্ন তোলে ড. মোমেন তাদের কূটনৈতিক মানদণ্ড থেকে স্পষ্টতই বিচ্যুত হওয়ার বিষয়টি মনে করিয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় অবস্থানরত পশ্চিমা দেশের সাত রাষ্ট্রদূত কোভিড-১৯ এর বর্তমান সংকটে নির্ভরযোগ্য ও প্রকৃত ঘটনা-ভিত্তিক তথ্যের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে তাদের মতামত দেন।
রাষ্ট্রদূতরা তাদের টুইট বার্তায়ও একই অনুভূতি শেয়ার করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার টুইট বার্তায় বলেন, ‘সর্বত্র জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের দেয়া নির্ভরযোগ্য এবং সত্য-ভিত্তিক তথ্যের প্রবেশাধিকার অত্যান্ত জরুরি। চলমান কোভিড-১৯ সংকটের মধ্যেও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বহাল রাখা অপরিহার্য যাতে সাংবাদিকদের কণ্ঠস্বর সংযত না হয়।’
অন্যদিকে, নিজের টু্ইট বার্তা বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন লেখেন, ‘সর্বত্র জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের দেয়া নির্ভরযোগ্য এবং সত্য-ভিত্তিক তথ্যের প্রবেশাধিকার অত্যান্ত জরুরি। সি-১৯ সংকটের মধ্যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমর্থন করা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং গণমাধ্যম যেন তার কাজ করে যেতে পারে।’
সত্য ও ন্যায়বিচারের জন্য নিজের জীবন, স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত কল্যাণকে ত্যাগ করা সব সাংবাদিককে শ্রদ্ধাও জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
সূত্র : ইউএনবি
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.