চলতি নভেম্বর মাসের ৪ তারিখে কিডনি ও ক্যান্সারজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৪ সাল থেকে আমৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন বিএনপির এই নেতা।দেশে ফেরার বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও কেবল মাত্র একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট এর ব্যবস্থা করে খোকার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের ব্যবস্থা করে সরকার।
যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন দেশবাসী।অথচ খোকার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করলেও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে খোকার আত্মীয়-স্বজন ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, সরকারের আন্তরিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নেতৃবৃন্দের পরামর্শে খোকার পরিবার দেশে ফেরা নিয়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছে।বলা হচ্ছে,সরকারের বাধায় খোকা জীবিত অবস্থায় দেশে ফিরতে পারেননি,যা সত্যি নয়।বিভিন্ন তথ্য সূত্র বলছে, উন্নত চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া,মামলা চালাতে অনীহা এবং গ্রেফতার এড়াতে ইচ্ছা করেই দেশে ফিরতে চাননি খোকা।অথচ তিনি জীবিত থাকাকালীন সময়ে পরিবারের সদস্য এবং বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদরা খোকার দেশে ফেরা নিয়ে নানা মিথ্যাচার করেন।তারা অভিযোগ করেন সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে খোকার পাসপোর্ট নবায়ন করছে না,যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।পাসপোর্ট জনিত সমস্যা থাকলেও ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে দেশে ফিরতে পারতেন খোকা।যদিও খোকার দেশে ফেরা নিয়ে তার পরিবার কিংবা বিএনপি নেতৃবৃন্দ কোন আগ্রহ দেখাননি বলে জানা গেছে।এখন খোকার মৃত্যুর পর নতুন রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে সরকারকে বিব্রত করতে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে বলে জানা গেছে। তারা বলছেন,খোকাকে দেশে ফিরতে বাধা দিচ্ছে সরকার,অথচ খোকার মৃত্যুর পর খোদ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল তার লাশ দেশে ফেরাতে সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
এদিকে লাশের রাজনীতি নিয়ে বিএনপির নতুন ফন্দি কাজে আসবে না বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।ব্যক্তি খোকার প্রতি যদি বিদ্বেষ থাকতো তাহলে সরকার শত প্রচেষ্টা চালিয়ে খোকাকে দেশে ফিরিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিয়ে দাফন করতো না,এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দণ্ডিত আসামি হলেও একজন মুক্তিযোদ্ধাকে তার প্রাপ্য সম্মান দিয়েছে সরকার।সুতরাং যারা খোকার দেশে ফেরা নিয়ে অপরাজনীতি করছেন,তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না বলেও মনে করেন তারা।
উল্লেখ্য,দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।যার মধ্যে দুটি মামলার রায় হয়েছে।গুলশানের বাড়ি,কালিয়াকৈর ও রূপগঞ্জে জমি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ১৩ বছরের জেল এবং মেয়র থাকাকালীন বনানীতে সরকারি ভবনের কার পার্কিং এর ইজারা না দিয়ে নিজের লোকজনদের মাঝে অবৈধভাবে বণ্টন করে রাষ্ট্রীয় অর্থ তছরুপ করার দায়ে ৬ বছরের জেল হয় খোকার।এই দুই মামলার দণ্ড মাথায় নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন খোকা।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.