বেগম জিয়ার কারাবাস এবং তারেক রহমানের লন্ডনে অবস্থানের কারণে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতে পারছে না বিএনপি। সেটার কারণ হিসেবে স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির ব্যর্থতাকে দায়ী করা হচ্ছে বারবার।
প্রশ্ন তোলা হচ্ছে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিগুলোর মনোনয়ন নিয়েও। তবে সপ্তম জাতীয় কাউন্সিলে স্বজনপ্রীতি দূর করে যোগ্যদের নেতৃত্ব দিলে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা দূর হবে এবং বিএনপি স্বরূপে ফিরতে পারবে বলে মনে করছেন দলটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। দলের গঠনতন্ত্র ও অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে অসন্তোষও কেটে যাবে সুষ্ঠু কাউন্সিল হলে, এমনটাই আশা করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তবে কবে নাগাদ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে সেটি নিয়ে দ্বিধান্বিত নেতারা। জানা গেছে, ক্রান্তিকাল দূর করতে জাতীয় কাউন্সিলের বিকল্প না থাকলেও সময় নির্ধারণ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছে দলটি।
তথ্যসূত্র বলছে, দল গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সময় মতো জাতীয় কাউন্সিল আয়োজন করতে পারেনি বিএনপি। বর্তমান স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল আয়োজন করতে পারেনি দলটি। এদিকে দলটির সিনিয়র নেতারা বলছেন, দলীয় প্রধান কারাগারে থাকায় সহসাই দলের সপ্তম জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বেগম জিয়াকে বাদ দিয়ে জাতীয় কাউন্সিল করা নিয়ে গুঞ্জন উঠলেও সেদিকে কান দেবেন না বরং পরিস্থিতি বিবেচনায় চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি বলেও জানিয়েছেন দলটির একাধিক সিনিয়র নেতা।
বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, দলীয় সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাহী কমিটির মেয়াদ ৩ বছর। দলটির সর্বশেষ ষষ্ঠ কাউন্সিল হয়েছিলো নির্ধারিত সময়ের ৬ বছর পরে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর দলের স্থায়ী কমিটির দুই সদস্যের বক্তব্যে দলের পুনর্গঠনের বিষয়টি আসার পরে নেতাকর্মীদের আশা ছিলো এবার হয়তো নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের কোনো চিন্তা নেই বলে জানা গেছে।
নির্ধারিত সময়ে জাতীয় কাউন্সিল আয়োজন নিয়ে কিছুটা দ্বিধা ও সমস্যায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে বেশকিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। জাতীয় কমিটিগুলোর মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। সেজন্য অবশ্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের আহ্বানে দলের নেতাকর্মীরা সাড়া দিতে চাচ্ছেন না। তবে এবারের কাউন্সিলে কোনোরকম স্বজনপ্রীতির সুযোগ থাকবে না। তৃণমূল যাকে চাইবে, তার হাতেই বিএনপির দায়িত্ব তুলে দেয়া হবে।
দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, কাউন্সিল নিয়ে দলের ভেতর নানা কানাঘুষা চলছে। নেতৃত্ব পরিবর্তন করে দলকে রাজপথমুখী করাই হবে এই কাউন্সিলের মূল লক্ষ্য। বিএনপির রাজনৈতিক রূপ ফিরিয়ে দিতে অবশ্যই ত্যাগী, পরীক্ষিত ও জন-নন্দিত নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিতে হবে। তবেই জাতীয় কাউন্সিলের মূল উদ্দেশ্য সফল হবে। যতদ্রুত সম্ভব চলতি বছরের মধ্যেই কাউন্সিলের আয়োজন করতে হবে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.