বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধি মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস পুরো দুনিয়া কে স্তব্ধ করে দিয়েছে। কোনভাবেই এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যাচ্ছে না। যেহেতু এর প্রতিষেধক বা নির্মুলের কোন টিকা বা ঔষুধ এখনো বিশ্বে আবিষ্কৃত হয় নি। বাংলাদেশে এর ভয়াবহতা ইতোমধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মার্চ মাসের ৮ তারিখে সনাক্ত হয়। তারপর ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিনই কোভিড ১৯ আক্রান্তে ও মৃত্যুর সংখ্যার হ্রাস- বৃদ্ধি ঘটতে দেখা গেছে। তবে এপ্রিলের শুরু থেকেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এখন প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা অনেক গুন বেশী হচ্ছে। আর সুস্থতার সংখ্যা মৃত্যুর হারের চেয়েও কম। ক্রমাগতভাবেই আক্রান্তের একটি সংখ্যা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।
গত বছরের শেষের দিকে ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশ থেকে উৎপত্তি হওয়া এই মরণব্যধি করোনা ভাইরাস টি বর্তমানে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশেও এর ব্যাপক সংক্রমণ ঘটেছে। এই পর্যন্ত ২ হাজার ৯ শত আটচল্লিশ জন আক্রান্ত হলেন। মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন মাত্র ৮৫ জন। আর এরই মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০১ জন। ১ মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেল। যে ভাবে এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটছে তা আমাদেরকে খুবই স্তম্ভিত করে তুলছে। পুরো বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থাকে বিপর্যস্থ করে তুলছে। যা এই মহামারী শেষ হলে খাদ্যের একটি চরম অচলাবস্থা পুরো বিশ্বে দেখা দিতে পারে।
আমাদের এই মুহূর্তে কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। সরকার নির্দেশিত বিষয় গুলো কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে। লক ডাউন মেনে চলতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পশে যাওয়া যাবে না। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। তবেই আমরা এর থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবো। এর সংক্রমণ বিস্তার রোধে আমাদের কে অবশ্যই যার যার বাসায় অবস্থান করতে হবে। পুলিশের সাথে লুকোচুরি খেলা বন্ধ করতে হবে। সর্বোপরি পুলিশ, ডাক্তার, সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। তবেই এর বিস্তার রোধ সম্ভব হবে। যার যার সৃষ্টিকর্তাকে বেশী বেশী করে স্মরণ করুন আর তার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করুন।
লেখকঃ সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি, কলামিস্ট ও পুলিশ কর্মকর্তা।