নিউজ ডেস্কঃ- একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসন বণ্টন নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। আসন বণ্টন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। সেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ পায় রোববার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও বুদ্ধিজীবী ড. এমাজউদ্দীন মধ্যে ফাঁস হওয়া এক অডিও ক্লিপে। এদিকে অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিএনপির উপর চরম ক্ষিপ্ত হয়েছেন মোশাররফ হোসেন। তার আসনে ঐক্যফ্রন্টের সহায়তা ছাড়াই জয়ী হতে পারবেন বলেও মন্তব্য করেছেন মোশাররফ হোসেন।
বিএনপির দায়িত্বশীল বিভিন্ন সূত্রের খবরে জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসন বণ্টন সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে শুরু থেকেই চিন্তিত ছিলো বিএনপি। কারণ নির্বাচনের শেষ সময়ে এসে ঐক্যফ্রন্টের ছাতার নিচে জড়ো হওয়া ভাসমান দলগুলো বিএনপির জন্য মাথা ব্যথার কারণ হবেন, সেটি অনুমান করতে পারছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতৃত্ব। শেষ পর্যন্ত তাদের সেই অনুমান সত্য প্রমাণিত হলো। মান্নার মতো নিবন্ধন বিহীন দলের ৪০টি আসন দাবি করা, রবের একাধিক আসন নিয়ে বায়নায় বিপাকে পড়েছে দলটি। রব এর আগের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর আসনটিতে পরাজিত হয়। ঐক্যফ্রন্টের অযাচিত ও অযৌক্তিক দাবি-দাওয়ায় নাজেহাল হয়ে পড়েছে বিএনপি। এত কিছুর মধ্যেও ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন দলের নেতাদের একহাত নিয়েছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কুমিল্লা-২ আসনে তাকে বিজয়ী করতে ঐক্যফ্রন্টের সাহায্য লাগবে না। এমনকি বিএনপির সরাসরি সাহায্য ছাড়াই তিনি এই আসনে জয়ী হতে পারবেন বলে আশাবাদী।
ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এমাজউদ্দীন স্যারের সঙ্গে কথা বলে আমি অপরাধ করিনি। বিএনপির সিনিয়র নেতা হিসেবে আমি এতটুকু অধিকার অন্তত রাখি। দলের বিভিন্ন বিষয়ে আমি আলাপ-আলোচনা করার ক্ষমতা ও যোগ্যতা রাখি। বিএনপি নেতাদের ভুলে গেলে চলবে না, আমি বর্তমানে বিএনপির সবচেয়ে সিনিয়র নেতা ও সাবেক মন্ত্রী। আমার ও এমাজ স্যারের ফোনালাপ নিয়ে হাস্যকর মন্তব্য করছেন বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। আমি তো স্যারকে একটি কথাও মিথ্যা বলিনি। বিএনপির ভেলায় শিকড়হীন কচুরিপানারা ভর করেছে। বিএনপি এতটা দুর্বল দল নয় যে অন্যের পরামর্শে রাজনীতি করতে হবে। কুমিল্লা-২ আসন থেকে ৪ বার নির্বাচিত হয়েছি। এই আসনে আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থন রয়েছে। এখানে জিততে হলে এমনকি বিএনপিরও সমর্থন লাগবে না আমার। আমি অন্তত এটি বিশ্বাস করি।