ঋণখেলাপির অভিযোগে ঐক্যফ্রন্টের শরিক কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি ঋণখেলাপি থাকায় প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়নি। রবিবার মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
কাদের সিদ্দিকী এবার টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে টাঙ্গাইল-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী না দিয়ে কাদের সিদ্দিকীকে সেখানে ছাড় দেয়।
জনতা লীগ নেতার ভোটে দাঁড়ানোর যোগ্যতা নিয়ে আগে থেকেই প্রশ্ন ছিল। কারণ, তার খেলাপি ঋণ রয়েছে। আর এ কারণে ২০১৪ সালে টাঙ্গাইল-৮ আসনের সংসদ সদস্য শওকত মোমেন শাহজাহানের মৃত্যুর পর ফাঁকা হওয়া উপনির্বাচনেও তিনি অংশ নিতে পারেননি খেলাপি ঋণের কারণে। উচ্চ আদালতে গিয়েও তিনি প্রার্থিতা টেকাতে পারেননি।
খেলাপি ঋণের কারণে ঋণখেলাপি হওয়ার ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনেও কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। সে সময় নির্বাচন কমিশন জানায়, সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থার নামে অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। কাদের সিদ্দিকী এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও নাসরিন কাদের সিদ্দিকী পরিচালক।
এই খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল না হওয়ায় এবারও প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে আশঙ্কায় তার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকীকেও একই আসন থেকে প্রার্থী করা হয় জনতা লীগের পক্ষ থেকে। এই আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আযম খান ভোটে দাঁড়ানোর কথা ছিল। তবে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
এই আদেশের বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকীর নির্বাচন কমিশনে আপিল করার সুযোগ আছে। সেখানেও পক্ষে আদেশ না পেলে উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন তিনি।