কর্মসংস্থান হবে ১৫ লাখের ॥ বিপুল সম্ভাবনা বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ৩:১০ : অপরাহ্ণ 279 Views

করোনা মহামারীর কারণে গত বছর বিদেশী বিনিয়োগ কমলেও ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো। দেশীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি এসব অঞ্চলে গত বছর সবচেয়ে বেশি বিদেশী বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে চীন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর এবং যুক্তরাজ্য থেকে। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রস্তাবনায় শীর্ষে রয়েছে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোনখ্যাত ‘মীরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর’। সরকার আশা করছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যেই পুরোপুরি তৈরি হবে দেশের ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ পর্যন্ত তিনটি সরকারী ও ১০টি বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট এক হাজার ৭৮৫ কোটি মার্কিন ডলারের বিদেশী বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় দেড় লাখ কোটি টাকারও বেশি। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে ৪১ ধরনের বিনিয়োগ সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে সেবাসমূহ আরও সহজ করতে হবে। স্থিতিশীল করতে হবে কর-নীতি। সেই সঙ্গে শুধু বড় বিনিয়োগকারীই নয়, গুরুত্ব দিতে হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ওপরও। এসএমই বিনিয়োগ বাড়াতে অর্থায়ন সমস্যা দূর করারও পরামর্শ দেন তারা।

জানা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে অন্যান্য খাতের মতো গত বছর বিনিয়োগেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, মহামারীতে গত বছর সব দেশেই বিনিয়োগে খরা গেছে। বিশ্বজুড়ে বদলে গেছে বিনিয়োগের চিত্র। এক দেশের বিনিয়োগ ছুটে গেছে আরেক দেশে। গত বছর বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ১ হাজার ৫২৯ বিনিয়োগকারীর নিবন্ধন দিয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) তথ্যমতে, সব মিলিয়ে সংস্থাটির মাধ্যমে গত বছর করোনা মহামারীর মধ্যেই বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে ৩৯৮ কোটি ডলারের। যার মধ্যে দেশীয় উদ্যোক্তাদের অংশ ৩৪৮ কোটি ডলার। যা মোট প্রস্তাবের ৮৭ শতাংশেরও বেশি। সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে। এর মধ্যে চীন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং যুক্তরাজ্যের দেশগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। বিদেশী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে-যুক্তরাজ্যের বার্জার পেইন্টস, জিয়াংসু ইয়াবাং ডাইস্টফ কোম্পানি লিমিটেড, জিহং মেডিক্যাল প্রোডাক্টস (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড এবং চীনের সিসিইসিসি বাংলাদেশ লিমিটেড, র‌্যামকি এনভিরো সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, জার্মানি ও ভারতের যৌথ উদ্যোগ সংস্থা ফোর্টিস গ্রুপ, এইচএ-র মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিসহ অস্ট্রেলিয়ার টেক লিমিটেড, নেদারল্যান্ডসের টিকটিকি স্পোর্টস বিভি এবং সিঙ্গাপুরের ইন্টার-এশিয়া গ্রুপ লিমিটেড।

এছাড়া দেশীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে- মেট্রো স্পিনিং লিমিটেড, ম্যাকসনস স্পিনিং এ্যান্ড টেক্সটাইলস, সামুদা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড, উত্তরা মোটরস লিমিটেড, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), সায়মান বিচ রিসোর্ট লিমিটেড, মাফ সুজ লিমিটেড, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ), এন। মোহাম্মদ প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ, ইফাদ অটোস লিমিটেড, রানার মোটরস লিমিটেড, সাইফ পাওয়ারটেক, ডেল্টা ফার্মা লিমিটেড এবং এশিয়া কমপোজিট মিলস লি. ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) তথ্যমতে, ফেনীর সোনাগাজী, চট্টগ্রামের মীরসরাই ও সীতাকুণ্ড ঘিরে ৩৩ হাজার একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’। এটি হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এখানকার শিল্প কারখানায় বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে জানিয়েছে বেজা। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিদেশী বিনিয়োগ ও দেশের ১৫ লাখ মানুষের কাজের ঠিকানা হবে এ শিল্পনগরী। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ২৬টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এছাড়াও ৩৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণাধঅন। মরীসরাইয়ে ভারতের জন্য জমি রাখা হয়েছে এক হাজার একরের মতো। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ প্রস্তাব ১ হাজার ২৩৯ কোটি ডলারের। এতে জমি নিয়েছে ৬৯টি প্রতিষ্ঠান। মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি নিয়েছে ২টি প্রতিষ্ঠান। তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ ২৪৮ কোটি ডলার। অন্যদিকে শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলের পুরো জমি নিয়ে নিয়েছে ৬টি প্রতিষ্ঠান। তাদের মোট বিনিয়োগ প্রস্তাব ১৩১ কোটি ডলার। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, এটি একটি বিস্তৃত শিল্পনগরী। এখানে সব ধরনের ভারি শিল্প স্থাপিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে ব্যাপক বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান তৈরি হবে। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শিল্পনগরীটির অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ করতে বদ্ধপরিকর। এটি বাস্তাবায়ন হলে এখানেই অন্তত ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তিনি বলেন, সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এক শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পর শুধু ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানই সৃষ্টি হবে না, বছরে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যও রফতানি হবে। যা আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশকে উন্নত দেশ হতে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

এছাড়া জাপান ও চীনের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। জাপানী অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে। দুই ধাপে সেখানে মোট জমি দাঁড়াবে এক হাজার একরের মতো। আর চীন চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৭৮৩ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। বেসরকারী সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জনকণ্ঠকে বলেন, ‘করোনা-পরবর্তী বিনিয়োগ স্থানান্তরের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেটা হয়তো সময়ের ব্যাপার। তবে ওই সুযোগ ধরতে বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা দরকার। এ জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়া দরকার।’ গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘প্রতিবেশী অনেক দেশেই অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিনিয়োগ টানতে বাংলাদেশ বিশেষ কী দিতে পারবে, সেটাও বিবেচনার।’

অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে যেসব প্রতিষ্ঠান জমি পেয়েছে ॥ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের জন্য জমি নিয়েছে বিদেশী বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে জাপানের হোন্ডা মোটর কর্পোরেশন, দক্ষিণ কোরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম কোম্পানি এস কে গ্যাস, বিশ্বের তৃতীয় বড় ইস্পাত উৎপাদক প্রতিষ্ঠান জাপানের নিপ্পন স্টিল, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে খেলনা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মেইগো লিমিটেড, ভারতের আদানি ও সিঙ্গাপুরের উইলমারের যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড, রং উৎপাদনকারী বার্জার ও এশিয়ান পেইন্টস, যুক্তরাজ্যের ইউরেশিয়া ফুডস এবং চীনের বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। দেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ, এসিআই, পিএইচপি, বিএসআরএম, অনন্ত গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ, এনার্জি প্যাক, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট, টিকে গ্রুপসহ অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি নিয়েছে।

ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের সবচেয়ে উত্তম পরিবেশ। এমন পরিবেশ পেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ঢাকায় আসছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশ ব্যবসা স্থানান্তর করতে চান বিদেশীরা। এর সঙ্গে দেশী বিনিয়োগকারীদেরও সক্ষমতা বাড়ছে।’

আশা জাগাচ্ছে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল ॥ বাংলাদেশও জাপানী বিনিয়োগ পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে জাপানীদের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, যার ৫০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এটি উন্নয়ন করছে জাপানের সুমিতমো করপোরেশন। জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল ২০২১ সালে কারখানা করার উপযোগী হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সহায়তায় বিনিয়োগকারীদের জন্য এক দরজায় সেবা বা ওয়ান স্টপ সার্ভিসও চালু করেছে বেজা। যদিও তাতে বেশ কিছু সেবা যুক্ত করা এখনও বাকি। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম জেট্রোর ঢাকা কার্যালয়কে চিঠি দিয়ে বলেছেন, জাপান বিদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনার যে কৌশল নিয়েছে, তা নিয়ে বাংলাদেশ খুবই আগ্রহী। এফবিসিসিআই চায়, জাপান কারখানা সরিয়ে বাংলাদেশে আনুক। চীন থেকে সরে যাওয়া কারখানা এ দেশে আনতে বাড়তি সুবিধা দেয়ার চিন্তা করছে সরকারও। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি কমিটিও কাজ করছে।

বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে নীতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ॥ বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়া এক লাখ ডলার (৮৫.০৬ লাখ টাকা) পর্যন্ত সেবা মূল্য পরিশোধ করতে পারবে বিদেশী কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশী কোম্পানিগুলোর বিদেশী কর্মীদের বৈদেশিক মুদ্রা নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়াও আরও সহজ করা হয়েছে। বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে অর্থ প্রত্যাবাসন ও বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থা সহজ করতে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিসে ৪১ সেবা ॥ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ওয়ান স্টপ সার্ভিসে এখন বিনিয়োগ সংক্রান্ত ৪১টি সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে বিডার নিজস্ব সেবা ১৫টি এবং অন্য ১০টি প্রতিষ্ঠানের ২৬টি সেবা রয়েছে। বিডা সূত্রমতে, বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিসে নতুন যুক্ত হওয়া ৬টি সেবার মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের ৩টি। এছাড়া বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এবং আমদানি রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রণক দফতরের ১টি করে সেবা বিডার পোর্টালে চালু হয়েছে। আরও দশটি সেবা যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৫০টির বেশি সংযুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বিডা। দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সমন্বয় করতে ইতোমধ্যে চার পর্বে ২০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সম্পন্ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আরও ১৯টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলমান।

উল্লেখ্য, সেবা গ্রহণ করে টাকা পরিশোধের সুযোগও দিচ্ছে বিডা। বিনিয়োগকারীদের দফতরে দফতরে ফাইল নিয়ে ছোটাছুটির হয়রানি বন্ধ হবে। অনলাইনে মনিটরিংয়ের কারণে এখন ফাইল দফতর বা টেবিলে আটকে থাকার সুযোগ নেই। সহজে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!