কোভিড-১৯ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হলেন আরো ৭২ পুলিশ সদস্য। তারা সুস্থ হয়ে গতকাল রবিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ছেড়েছেন। করোনা পজেটিভ হওয়ায় তারা বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন। এ যাবৎ করোনা আক্রান্ত মোট ১৪৭ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়েছেন। এদিকে করোনাযুদ্ধে কনস্টেবল জালাল উদ্দীন খোকার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
রবিারর (১০ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, সরকারের আইইডিসিআর এর চিকিৎসা প্রটোকল অনুযায়ী ৭২ পুলিশ সদস্যদের পরপর দুবার কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়। টেস্টে দুবারই নেগেটিভ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদেরকে করোনামুক্ত ও সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল ত্যাগের ছাড়পত্র দেন। এদিকে গত শনিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে কনস্টেবল জালাল উদ্দীন খোকার মৃত্যুর ঘটনায় আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবাণীতে তিনি বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশ পুলিশ করোনা প্রতিরোধের সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে জনগণের পাশে থেকে নিরলস কাজ করছে। করোনা প্রতিরোধে জনগণকে সেবা দিতে গিয়ে জীবন দিলেন বীর পুলিশ সদস্য জালাল উদ্দীন খোকা। আমি এ গর্বিত পুলিশ সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
জালাল উদ্দীন খোকার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন কওে তাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোতভাবে আপনাদের পাশে থাকবে। আইজিপি বলেন, করোনাক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও সেবাযত্নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল ছাড়াও রাজধানী ঢাকা এবং বিভাগীয় শহরে বেসরকারি হাসপাতালে পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ১১৬ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। করোনাযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী কনস্টবল জালাল উদ্দিন খোকা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক পূর্ব বিভাগে কর্মরত ছিলেন। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তার পরীক্ষা করা হয় ২৬ এপ্রিল। পরীক্ষায় তার ফলাফল পজিটিভ আসে। তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার মারা যান তিনি।