আগামী বছর জানুয়ারির শেষ দিকে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা পাওয়ার সম্ভাব্য সময় ধরে এগোচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এজন্য ১০ জানুয়ারির মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। টিকা এলে শুরুতে কারা পাবেন, তা নির্ধারণের কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে মাইক্রো পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ এসেছে। একই সঙ্গে টিকা বিতরণের লক্ষ্যে একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। টিকা দেশে আসার পর তা পরিবহন, মাঠ পর্যায়ে সংরক্ষণ ও বণ্টনের পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্যও জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে টিকা-সংক্রান্ত প্রস্তুতি নিয়ে এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। তবে বড়দিন সামনে রেখে আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন মিলতে পারে বলে জোরালো আলোচনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম বলেন, টিকা বিতরণের জন্য মাইক্রো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। টিকা আসার পর শুরুতেই চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। কিন্তু তাদের সবাইকে এক দিনে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না। এজন্য কোন একশজন অগ্রাধিকার পাবেন, তা নির্ধারণ করা হবে। অর্থাৎ কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকারী ঝুঁকিপূর্ণ একশজন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রথমে টিকা পাবেন। এরপর ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে অন্যরা পাবেন। এটিই মাইক্রো পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে শুরু করে সব খাতে বিবেচ্য হবে। রাজধানী থেকে শুরু করে সারাদেশে মাইক্রো পরিকল্পনা অনুযায়ী টিকা কর্মসূচি চলবে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, টিকা-সংক্রান্ত প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ওই বৈঠকে সংশ্নিষ্ট সব বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে সার্বিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কোন বিভাগ কী কাজ করবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আইসিটি মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখাকে একটি ডাটাবেজ তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়। টিকাদানের ক্ষেত্রে নাম নিবন্ধনসহ সব ধরনের তথ্য এই ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকবে। বিশেষ করে টিকা গ্রহীতার বিস্তারিত পরিচয় ও তথ্য এতে পাওয়া যাবে। কারণ একজন ব্যক্তি দুই ডোজ করে টিকা পাবেন। সেক্ষেত্রে প্রথম ডোজ দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ে যাতে ওই ব্যক্তি দ্বিতীয় ডোজ পান, তা নিশ্চিত করা হবে। যাতে কেউ বাদ না পড়েন, তাও নজরদারি করা হবে। একই সঙ্গে টিকা গ্রহণের পর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, তাও প্রস্তুতিতে রাখা হয়েছে। টিকা দেশে আসার পর তা পরিবহন কারা করবেন, নিরাপত্তার বিষয় কী হবে এবং ওই টিকা কীভাবে সংরক্ষণ ও বিতরণ করা হবে, তার রোডম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।
সূত্রঃ দৈনিক সমকাল
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.