পূর্ণাঙ্গ রূপ পাচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কক্সবাজার বিমানবন্দর। আন্তর্জাতিক মানের রানওয়ে সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে বিমানবন্দরটিতে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।\হসংস্থাটি বলছে, বর্তমানে এ বিমানবন্দরে দৈনিক যাত্রীবাহী ও কার্গো প্লেন চলাচল বেড়েছে। দেশের পর্যটনশিল্প বিকাশে এবং সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আকাশপথে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বিমানবন্দর।
বিমানবন্দরটি অনুন্নত রানওয়ে ও অবকাঠামোর কারণে সব ধরনের প্লেন চলাচলের জন্য অনুপযোগী ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত নানামুখী প্রকল্পের ফলে কক্সবাজার বিমানবন্দর নবরূপে পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দরে পরিণত হতে যাচ্ছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ করতে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আকাশপথে দ্রুত\হযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে এ প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বড় প্লেনও কক্সবাজারে যাতায়াত করতে পারবে।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান সমকালকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে এভিয়েশন খাতসহ দেশের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজ চলছে। এ ধারাবাহিকতায় নতুন রূপ পাচ্ছে দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্রের বিমানবন্দরও।
বেবিচক কর্মকর্তারা বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় বিশ্বের নামকরা অনেক প্রতিষ্ঠান। যাচাই প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি চাংজিয়াং ইচাং ওয়াটার ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো (সিওয়াইডব্লিউসিবি) ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন-জেভি’র মধ্যে চুক্তি হয়। বেবিচকের অনুমিত ব্যয়ের চেয়ে অন্তত ২১ শতাংশ কম দর প্রস্তাব করে তারা।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে রেক্লেমেশন প্রক্রিয়ায় আরও এক হাজার ৭০০ ফুট রানওয়ে সম্প্রসারিত হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের অন্যান্য প্রধান ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে জমি পুনরুদ্ধার, নমনীয় ফুটপাতসহ রানওয়ে সম্প্রসারণ, সমুদ্রে যথাযথ পদ্ধতির আলোক ব্যবস্থাসহ একটি সিস্টেম স্থাপন ও নিকাশীর সুবিধা।
কর্মকর্তারা বলেন, বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সুপরিসর প্লেন তথা বি-৭৭৭-৩০০ ইআর, বি-৭৪৭-৪০০ পরিচালনায় সুবিধা হবে। ফলে এ বিমানবন্দর থেকে সাধারণ যাত্রীর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটকের যাতায়াতও বাড়বে। পর্যটন খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও বেড়ে যাবে।
বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক সমকালকে বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দর সাগরপাড়ে হওয়ায় এখানে দিন দিন দেশি-বিদেশি যাত্রী বাড়ছে।