বান্দরবান অফিসঃ- গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলেও তা ফলপ্রসূ হবার অবস্থান থেকে সরে গেছে। ঐক্য নিয়ে জনমনে একধরনের অস্বস্তিও পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর নেপথ্যের কারণ হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রখ্যাত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ করার প্রশ্নে বিএনপির ছাড় না দেয়া। এর ফলে জাতীয় ঐক্য থেকে সরে এসেছেন বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান বি. চৌধুরী। তবে বি. চৌধুরীর সরে আসাকে জাতীয় ঐক্যের নেতারা ‘নতুন মতলব’ বলে অখ্যায়িত করছেন।
যদিও বি. চৌধুরীকে ছাড়াই জাতীয় ঐক্যের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ার পর ওইদিন সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন বি. চৌধুরী। এতে উপস্থিত ছিলেন, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব, দলের মুখপাত্র মাহী বি. চৌধুরীসহ বিকল্পধারার নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বি. চৌধুরী বলেছেন, এখন থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গ ত্যাগ না করলে বিএনপির সঙ্গে কোনো বৈঠক হবে না। তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া সৃষ্টির লক্ষ্যে আমি স্পষ্ট বলেছি, যারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি, আমরা শুধু তাদের সঙ্গে ঐক্য করব। যারা আমাদের মানচিত্রকে অস্বীকার করবে, আমাদের মা-বোনদের ত্যাগ স্বীকারকে অস্বীকার করবে, মুক্তিযুদ্ধের লাখ লাখ শহীদ— এই ইতিহাসকে যারা অশ্রদ্ধা করবে এবং এখন পর্যন্ত যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে স্বীকার করবে না, তাদের বাদ দিয়ে আসার কথা বলেছি।’
বি. চৌধুরীর এই অবস্থানকেই অন্যভাবে ব্যাখ্যা করছে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যে আসা দলগুলোর শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন, স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি বলতে বি. চৌধুরী আওয়ামী লীগকে বোঝাচ্ছে। এখন তিনি আওয়ামী লীগের ছায়াতলে ক্ষমতায় যেতে চান।
এ প্রসঙ্গে মওদুদ আহমেদ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যে আসতে চেয়ে বি. চৌধুরী নিজেই তার রূপ পরিবর্তন করেছেন। এ থেকে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে, তিনি জাতীয় ঐক্যের চেয়ে ভালো কিছু খুঁজতে চেয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার মতলব খুঁজেছেন- তা মোটামুটি স্পষ্ট।
তবে কী জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা বিরোধী নয়, যাদের সঙ্গ আপনারা ত্যাগ করলেন না? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেছেন, সেটি এক কথায় প্রকাশযোগ্য নয়।
এদিকে আওয়ামী জোটে বি. চৌধুরীর যোগ দেয়ার বিষয়ে বিএনপির তরফ থেকে তোলা অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে কোনো সত্যতা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।