দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যাদের মনোনয়ন দেওয়া যায়নি তাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তৃণমূল নেতাদের পরামর্শ এবং একাধিক জরিপের সুপারিশের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়েছে। রাজনৈতিক ত্যাগ, দক্ষতা, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার বিচারে প্রায় প্রত্যেকটি ইউনিয়ন-পৌরসভা ও উপজেলায় ছিল একাধিক যোগ্য প্রার্থী। যাদের শ্রম ও ঘামে আজকে আওয়ামী লীগ এই অবস্থানে এসেছে। একাধিক আবেদনকারীর মধ্য থেকে একজনকে প্রার্থী হিসেবে নির্ধারণ করার কাজটি ছিল অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ।
আমরা নির্বাচনে যাকে নৌকা দিয়েছি তার পক্ষেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। গতকাল দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৮টি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ধারাবাহিক বৈঠকের শেষ দিন ছিল গতকাল। বিকাল ৪টায় গণভবনে এই বৈঠক শুরু হয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৯টা) চলে।
মাগরিবের নামাজের বিরতির সময় দুজন মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যের সঙ্গে কথা বলে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রতি এমন বার্তার খবর পাওয়া গেছে। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আমির হোসেন আমু, শেখ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রশিদুল আলম, কাজী জাফরউল্লাহ, ড. আবদুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুজন সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রায় প্রতিদিনই প্রার্থী বাছাইয়ের সময়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতি জোর দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শেষ দিনের সভায় তিনি বলেছেন, দলের ভিতরে কোনো ধরনের কোন্দল যেন সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক যোগ্য প্রার্থী ছিল। সবাইকে মূল্যায়ন করতে পারিনি। কিন্তু রাজপথে তাদের দলের জন্য ত্যাগ ও শ্রম রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে মূল্যায়ন করা হবে। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেতা-কর্মীদের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের উন্নয়নচিত্র প্রচার করতে হবে।
নৌকার যেন বিজয় হয়, যারা রাজাকার-খুনি-এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে, মানি লন্ডারিং করে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে এদের বিরুদ্ধে প্রচার করতে হবে। আমরা যে উন্নয়নগুলো করেছি, সেটা গ্রামগঞ্জে মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। উন্নয়নের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে হবে।