একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামকে ২৫টি ও ঐক্যফ্রন্টকে ১৮টি আসনে মনোনয়ন দেয়ায় বিএনপির ওপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণফোরাম সভাপতি ডঃ কামাল ও জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব।
শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর জাতীয় গণফোরামের মতিঝিল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. কামাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পর বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। আর ২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে খালেদা জিয়া জেলে যাবার পর বিএনপি পদদলে পদপিস্ট হয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়ে থাকে। আর সেই বিএনপিকে সুস্থ করে নির্বাচনের যোগ্য করে তুলেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। অথচ ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের দেয়া হয়েছে মাত্র ১৮টি আসন। আর যুদ্ধাপরাধীদল জামায়াতকে দেয়া হয়েছে ২৫টি আসন। এতেই বোঝা যায়, বিএনপি কতোটা অকৃতজ্ঞ দল।যদি ঐক্যফ্রন্টকে ২৫ টির কম আসন দেয়া হয় তাহলে জোট থেকে বের হয়ে যাব ।
অপরদিকে আ.স.ম আব্দুর রব বলেন, দলীয় আদর্শ থেকে বের হয়ে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছি শুধু মাত্র কিছু আসন বেশি পাবো ভেবে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একাধিকবার ডাক পেয়েও সে দলে যাই নি, কারণ বিএনপি আমাদের বেশি আসন দেবে, এই ভেবে। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম হিতে বিপরীত হলো। তারা এখনো জামায়াতকে অধিক মূল্যায়ন দিচ্ছে। যেখানে আমাদের শর্ত ছিলো বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। সেখানে বিএনপি এখনো যদি জামায়াতের সঙ্গে এতো ভালো সম্পর্ক রাখে, তবে সেটা বেমানান। ঐক্যফ্রন্ট দলীয়ভাবে মিটিং করে, এ বিষয়ে ফয়সালা করবে।
তাছাড়া, আ স ম রবের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত জানা গেছে, বিএনপির পক্ষ হতে এরূপ অমর্যাদাসূলভ আচরণে ড. কামাল খুবই মর্মাহত। জামায়াতের সমপরিমাণ আসন দেয়া না হলে ড. কামালসহ আরও কতিপয় শরিক দলের নেতৃবৃন্দ জোট থেকে বের হয়ে যাবেন মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অচিরেই তিনি বিএনপির সঙ্গে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইবেন বলেও নিশ্চিত করেছে সূত্রটি। বিএনপির উপর যে পাকিস্তানি ভূত চেপে রয়েছে, তা আরেকবার প্রমাণ করেছে দলটি- বলে এ প্রতিবেদকের নিকট মন্তব্য করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণফোরামের একজন কেন্দ্রীয় নেতা।