করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে বড় সুখবর, এ মাসের শেষেই দেশে আসতে পারে করোনা ভ্যাকসিন। এমন দুর্যোগ মোকাবিলায় তৃণমূলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আট বিভাগেই আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতাল এবং প্রতি জেলায় পিসিআর ল্যাব, আইসিইউ ইউনিট, বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে এ বছর। এছাড়া সব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে এক ছাতার নিচে আনতে মহাখালীতে হবে বঙ্গবন্ধু স্বাস্থ্য নগরী।
করোনা মহামারি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে দেশের স্বাস্থ্য খাতের নানা অসঙ্গতি। দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার যেসব অভিযোগ উঠেছে তা খণ্ডাতে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। উদ্দেশ্য, টেকসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ। নতুন বছরে দেশের স্বাস্থ্যখাতের জন্য সবচেয়ে বড় সুখবর, এ মাসেই পাওয়া যাবে টিকা। শুরুর দিকেই সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে।
নতুন বছরে স্বাস্থ্যখাতে আছে আরো বেশ কিছু আশার খবর। সারা দেশের জেলা হাসপাতালগুলো শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। প্রতিটি হাসপাতালেই বাড়বে শয্যা সংখ্যা, স্থাপিত হবে কোভিড আইসোলেশন ইউনিট, আইসিইউ ইউনিট, সংক্রমণ প্রতিরোধ বিভাগ।
এছাড়া, অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা, বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও শক্তিশালী করা হবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০০ শয্যায় উন্নীত করা, আট বিভাগে আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতাল এবং মহাখালীতে বঙ্গবন্ধু স্বাস্থ্য নগরী করার কাজও শুরু হবে এ বছরেই।
জনবল সংকট কাটাতে স্বাস্থ্যখাতে প্রায় ৫০ হাজার জনবল নিয়োগের সুখবরও আসতে পারে এ বছর।