বহু বছর ধরে বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন তারেক জিয়া। সন্ত্রাস-দুর্নীতি-জঙ্গিবাদের সাথে নিজের নামকে এমনভাবে জড়িয়েছেন যে, এসব শব্দই এখন তার নামের সমার্থক। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে ঘটিয়েছিলেন বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা। ইতোমধ্যে একাধিক মামলায় দণ্ডিতও হয়েছেন জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে তারেক রহমান।
তারেকের মা খালেদা জিয়াও দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। ‘মা’কে কারাগারে রেখে কীভাবে তার সন্তান বিদেশে আরাম আয়েশ করতে পারে, তা যে কারোর কাছেই প্রশ্ন রাখে। তবে ‘মা’ অথবা ‘আরাম আয়েশ’ প্রশ্নে তারেক বেছে নিয়েছেন দ্বিতীয়টিকেই। ছেড়েছেন ‘মা’কে।
‘মা’কে ছাড়লেও নিজের পুরোনো স্বভাব ছাড়েননি তারেক। লন্ডনে বসেই দিচ্ছেন ক্রমাগত নাশকতা ও হত্যার নির্দেশ। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ তার।
লন্ডন থেকে একের এক নির্দেশ পেয়ে নেতাকর্মীরাও দিশেহারা। ইতোমধ্যে এসেছে ভোটগ্রহণের দিন লাশ ফেলার নির্দেশও। পিঠ বাঁচাতে তারেকের সে নির্দেশ পালনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে দলটি। বিএনপির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এ সংবাদ জানিয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, হামলার টার্গেটে প্রথমেই থাকবে আইনশৃংখলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত সদস্যরা। এছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদেরকেও আতর্কিত হামলা করা হবে। আর অবস্থা বেগতিক দেখলে নিজ দলের কর্মীদের মেরে ফেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার নির্দেশ রয়েছে।
গোলযোগের সুযোগেই কর্মীদের ভোটকেন্দ্র দখলে নিয়ে নিতে নির্দেশ রয়েছে তারেকের। প্রতিটি কেন্দ্রে অন্তত দুই থেকে চারটি লাশ না ফেলতে পারলে পরিকল্পনা সফল হবেনা বলে মনে করছে তারেক।
পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তানসহ বিদেশী একটি চক্র। ইতোমধ্যে নীলনকশা চলে গিয়েছে প্রতি জেলায় জেলায়। পর্যায়ক্রমে তা থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে পৌঁছে দেয়া হবে। এর সবকিছুই করা হবে কঠোর গোপনীয়তায়।
সূত্রটি আরও জানায়, ভোটের দিন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জনসাধারণের ওপর হামলার নির্দেশও দেয়া হয়েছে তাদের। তারেকসহ বিএনপির হাইকমান্ড ইতোমধ্যে সন্ত্রাসীদের এলাকা ভাগ করে দিয়েছেন। এখন চলছে রণপ্রস্তুতি।
এ ব্যাপারে দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যান জানান, তারেক রহমান ইতোমধ্যে আসন্ন নির্বাচনকে যুদ্ধের সাথে তুলনা করেছেন। তাই আমরাও রণপ্রস্তুতি নিচ্ছি। বিএনপি নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে সর্বশক্তি নিয়ে উপস্থিত থাকবে।