দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে একের পর এক তৃণমূল নেতাদের বহিষ্কার করছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এতে তৃণমূলে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ। বহিষ্কারের সেই তালিকায় যুক্ত হলো আরও ৩ জনের নাম। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় যশোর জেলা বিএনপি নেত্রী ও ঝিকরগাছা উপজেলা মহিলা দলের সদস্য নাহিদ আক্তার, অভয়নগর উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফরিদা বেগম, বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য দিলারা জামানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেই থেকে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।
এরপর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে এবং কয়েকটি সংসদীয় আসন এবং উপজেলাসহ কোনো ধরনের উপ-নির্বাচন বা নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। এমন প্রেক্ষাপটে যারাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এবং নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির যেসব নেতার বিরুদ্ধে সহযোগিতা করছে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
এর আগেও কয়েক দফায় দেশের বিভিন্ন জেলার দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের অভিযোগে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপিতে বহিষ্কৃতদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে ক্ষোভও। জানা গেছে, বহিষ্কৃত নেতারা তৃণমূল বিএনপিকে প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছেন। নতুন করে বহিষ্কৃত নেতারাও সেদিকেই হাঁটছে বলে জানা গেছে। বহিষ্কৃত অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিএনপির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোরও চিন্তা করছেন তারা। যা বিএনপির জন্য বিপদ ডেকে আনবে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
বিএনপির নয়াপল্টন পার্টি অফিসের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, সদ্য বহিষ্কৃত নেতারা দেশের বিভিন্ন উপজেলার বহিষ্কৃত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অমূলক বহিষ্কারের জবাব দিতে বিএনপিকে স্থানীয়ভাবে প্রতিহত করতে একত্রিত হচ্ছেন। বহিষ্কৃতরা বলছেন, তৃণমূল নির্বাচনকে জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে বিএনপি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা তৃণমূল নেতাদের হীন করার সমতুল্য। এই অপমানের জবাব দিতেই তারা একত্রিত হচ্ছেন। যা বিএনপির জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।