এক্সপ্রেসওয়ের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যাতে চারলেনের সড়কে স্বাচ্ছন্দে চলবে, যানবাহন। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে কাল এর উদ্বোধন করবেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক প্রকল্প। ব্যবহারকারীরা বলছেন, চলাচলে আগের চেয়ে সময় লাগছে কম; কমেছে দুর্ঘটনাও। তবে, কিছু জায়গায় পথচারী পারাপারে ফুটওভারব্রিজ স্থাপনের দাবি স্থানীয়দের।
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক প্রকল্প। ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের এই মহাসড়কটি যুক্ত হবে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর দুপাশে।
২০১৬ সালে শুরু হয় এ প্রকল্পের কাজ। মাঝখানে দুদফা সংশোধন আর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে ২০১৮ সালে নেয়া হয় আরো একটি প্রকল্প। সব মিলিয়ে ব্যয় হচ্ছে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি।২০২০ সাল পর্যন্ত মেয়াদে এই মহাসড়কের কাজ এখন অনেকটাই শেষের পথে। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে আগের সেই বেহাল দশা আর নেই। বরং এ পথের নতুন রূপ অনেককেই বিস্মিত করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ)।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে যাত্রাবাড়ী-ভাঙ্গা প্রকল্প। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টায় এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।পরিবহন চালকরা বলছেন,এখন এই রুটে চলাচলে সময় লাগছে আগের চেয়ে বেশ কম। সেইসাথে কমেছে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও।নতুন এ মহাসড়কের সুবিধার কথা বলছেন স্থানীয়রাও। তবে সরকারের কাছে তাঁদের দাবী রয়েছে যেহেতু প্রাইমারি বিদ্যালয় রয়েছে তাই রাস্তা পারাপারের জন্য একটি ওভেরব্রিজের।দেশের মূল অর্থনীতির সাথে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করতে এই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। সরকার মনে করছে শুধু আঞ্চলিক যোগাযোগের উন্নয়নই নয় সেই সাথে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে সংযোগ স্থাপনেও ভূমিকা রাখবে এটি।