বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব গণমাধ্যম যেনো করোনায় আক্রান্ত। করোনায় মৃত্যু নয়তো করোনার নানা প্রভাব ছাড়া কোনো সংবাদই যেনো নেই। রাজনীতি, অর্থনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা সব জায়গাই করোনা সংক্রান্ত সংবাদ। এরই মধ্যে একটি অন্যরকম সুখবর পেয়েছে জাতি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের অন্যতম ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদকে গ্রেপ্তারের পরে আদালতের এজলাসে তোলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এই আব্দুল মাজেদ। তিনি দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে ছিলেন। পলাতক অন্য পাঁচ খুনি হলেন আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। এদের মধ্যে কানাডায় নূর চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রাশেদ চৌধুরী। মোসলেম উদ্দিন জার্মানিতে ও শরিফুল হক ডালিম স্পেনে আছে। তবে খন্দকার আবদুর রশিদ কোন দেশে অবস্থান করছেন তার সঠিক তথ্য পুলিশের কাছে নেই।
সোমবার রাত সাড়ে তিনটায় রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন নিশ্চিত করেছেন। অনেক দেরিতে হলেও এই কুখ্যাত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তারের ঘটনা একটি ইতিবাচক দিক।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আইনি প্রক্রিয়াশেষে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি কার্যকর হয়। মাজেদসহ অন্যরা পলাতক থাকায় বঙ্গবন্ধু হত্যার কলঙ্ক এখনো জাতির কপালে লেগে আছে।
আমাদের আশাবাদ, যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া শেষে আব্দুল মাজেদের দণ্ডও কার্যকর করা হবে। আর সেইসঙ্গে অন্য পলাতক আসামীরাও যাতে আইনের জালে ধরা পড়ে, সে বিষয়ে কূটনৈতিক ও পুলিশী প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।