বান্দরবান অফিসঃ-আবারো সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের মধ্যমণি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যদের অর্থায়নে প্রকাশিত নিজের লেখা একটি বই প্রকাশ করে আবারো বিশেষ মহলের ইন্ধনে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলে বসেছেন সিনহা।
উল্লেখ্য তিনি অসুস্থতার কথা বলে তিনি ছুটি নিয়ে বিদেশ গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সরকারের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই আইন লঙ্ঘন করে বিদেশে বসে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
অসুস্থতার কথা বলে রাষ্ট্রপতির কাছে ছুটির আবেদন করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। গত ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেন তিনি। এই লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ছুটির এই আবেদনে রাষ্ট্রপতি সাড়া দিলে বিচারপতি বিদেশ ভ্রমণের বৈধতা পান। তবে দেশ ছাড়ার একেবারে আগ মুহূর্তে তিনি গণমাধ্যমকে বলে গেছেন, তিনি অসুস্থ নন। অথচ ছুটির আবেদনে তিনি নিজেকে অসুস্থ দাবি করেছেন। একজন প্রধান বিচারপতি হয়েও তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন! সারাজীবন মানুষকে ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’ পড়িয়ে সে মানুষটাই দুর্নীতির দায় ঢাকতে মিথ্যা বলে বিদেশে পাড়ি জমালেন!
প্রধান বিচারপতির শপথ ভঙ্গের এই গল্প এবারই প্রথম নয়। তিনি অতীতেও শপথ ভঙ্গ করেছেন সাকা পরিবারের সঙ্গে দেখা করে। একজন বিচারকের সঙ্গে আসামি পরিবারের সঙ্গে দেখা করে চেয়ে বড় অপরাধ আর কি বা হতে পারে।
প্রধান বিচারপতি বিদেশ যাওয়ার পর মিডিয়াতে প্রকাশ পায় বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা এগারটি অভিযোগ। আপিল বিভাগের বৈঠকের পর রেজিস্ট্রার দপ্তর দেওয়া বিবৃতিতে দুর্নীতি, অর্থ পাচার সহ এগারটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগ নিয়ে গত ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি প্রধান বিচারপতির কাছে এসব অভিযোগের ব্যাখ্যা চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন! এর মাধ্যমে বিচারপতির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ সত্য প্রতীয়মান হলে অপর পাঁচ বিচারপতি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সাথে একই বেঞ্চে বসে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে কি এই একই অভিযোগ এবং সদুত্তর দিতে না পারার কারণেই অসুস্থতার অজুহাতে দেশত্যাগ প্রধান বিচারপতির?
বিচারপতি দেশ ছেড়ে পালানোর পর এই অভিযোগ সমূহ প্রচার প্রচারণা নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির সমালোচনা করেন। এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক শাস্তি সে অবশ্যই পাবে’। আইন মন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে যে এগারটি অভিযোগ উঠেছে তা অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’।
বিচারপতি দেশের বাহিরে আছেন কিন্তু আইনের আওতার বাহিরে নয়। যে সরকার ৪০ বছর আগের অপরাধীকে বিচারের কাড়গোড়ায় দাঁড় কারাতে পেরেছে ,আমি বলবো সেই সরকারের উপর ভরসা করতে পারেন। অপরাধী যেই হোক আর যেইখানেই থাকুক তাকে বিচারের আওতাধীন নিয়ে আসতে সক্ষম এই সরকার।