গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির পর বিপাকে রয়েছে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ দলীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ভিতরে-বাইরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। খালেদার মুক্তি আন্দোলনসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনের পূর্ব শর্ত হিসেবে দল গোছানো নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
গত জাতীয় নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেওয়ায় দেশি-বিদেশি চাপ ও অস্বস্তি বেড়েছে।
সম্প্রতি ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি তাদের আন্দোলন কর্মসূচি নির্ধারণ করতে বৈঠকে বসেছে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতার সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে মতবিরোধ দেখা গেছে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের মাঝে। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন এবং অন্যান্য জাতীয় বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে চাইলেও বিএনপির নেতারা ভিন্নমত পোষণ করেছে। বিএনপি নেতারা আন্দোলনের প্রধান এজেন্ডা হিসেবে নির্বাচনের পাশাপাশি বিনা শর্তে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদার মুক্তি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করার পক্ষে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট নেতারা মনে করছেন আবারো ভুল কৌশল নিয়ে আন্দোলনে যাবার কথা ভাবছে বিএনপি। তাদের মতে আন্দোলনে খালেদার মুক্তির ইস্যু, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের মতো রাজনৈতিক ব্যাপারগুলো আন্দোলনে প্রধান দাবি হিসেবে উপস্থাপন করলে উক্ত আন্দোলনে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করা যাবেনা। বিএনপির এসব রাজনৈতিক দাবি আদায়ের একমাত্র পন্থা হলে পুনঃনির্বাচনের দাবি আদায়ের পর সে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করা, তবেই মুক্তি মিলবে খালেদার এবং দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন তারেক রহমান।
এদিকে বিএনপি তাদের দলীয় অন্তঃকোন্দলও সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দলটির নীতিনির্ধারকরা। দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে, জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবি, নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ, সিনিয়র নেতাদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, অবিশ্বাস, জামায়াত ছাড়ার চাপ, নেতাকর্মীদের পদত্যাগের মুখে টালমাটাল বিএনপি। দীর্ঘ ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলটির ঐক্য ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন নীতি-নির্ধারকরা।
গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে ভরাডুবির পর অনেকটাই মুষড়ে পড়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। দলীয় কর্মসূচি থেকে শুরু করে নিজ এলাকায়ও যাচ্ছেন না তারা। এমতাবস্থায় দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনীতি সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তিত্ব।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.