আগুনে পুড়ে যাওয়া মিরপুর-৭ নম্বরে ঝিলপাড়ে চলন্তিকা বস্তির ক্ষতিগ্রস্ত ৮০টি পরিবারের মাঝে অর্থ সহায়তা দিয়েছে বিএনপি। যারা বিএনপির দেয়া অর্থ সহায়তা পেয়েছে তারা প্রত্যেকেই বিএনপি মনোভাবাপন্ন বলে জানা গেছে। একটি বৃহৎ সংকটে কেবল বাছাই করা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রেক্ষিতে সমালোচিত হচ্ছে দল ও দলের নেতারা।
সূত্র বলছে, রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম এই অর্থ সহায়তা দেয়। এর আগে দলীয় কর্মীদের দিয়ে ওইসব পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়। বিএনপির একাধিক সূত্র মারফত এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে। সংগঠনের আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও সদস্য সচিব বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে তালিকা তৈরি ও অর্থ সহায়তা দেয়া হয়। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নেয়া এস এ সাজু।
তথ্যমতে, ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫০০-৬০০টি ঘর পুড়ে গেছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মোট পরিবারের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
অথচ বেছে বেছে বিএনপি মনোভাবাপন্ন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোকে বিএনপির চরম সংকীর্ণ মনোভাব এবং অপরাজনীতির অংশ বলে মনে করছে রাজনীতি সচেতন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। বিষয়টিকে অনেকেই লোক দেখানো সহায়তা বলেও উল্লেখ করছেন।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হলো, সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন পাশে দাঁড়াবে বিষয়টি ইতিবাচক দিক। যেহেতু একটি দল সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারবে না। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু বেছে বেছে নিজেদের দলীয় মতাদর্শে বিশ্বাসী- এমন লোকদের পাশে দাঁড়ানো অমানবিক ও স্বার্থপরতা। যে ৮০ পরিবারের পাশে বিএনপি দাঁড়িয়েছে সেটা যদি দলীয়করণ না হয়ে সাধারণ সহায়তা হতো তাহলে তা নিয়ে সমালোচনা হতো না। এখন যে সমালোচনা হচ্ছে তা সমালোচনা হওয়ারই বিষয়। এটি একটি ঘৃণ্য রাজনীতির অংশবিশেষ।