এডিটর ডেস্ক,বান্দরবান:-ঐতিহাসিক ১৭ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা বিদ্যা নন্দিনী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আনন্দ র্যালী ও পথসভার আয়োজন করা হয়।গতকাল বুধবার ১৭ মে বিকেল ৫টায় বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত আনন্দ র্যালী টি বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ এর কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃইসলাম বেবী,জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর,জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাওসার সোহাগ র্যালী তে নেতৃত্ব দেন।পরে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাওসার সোহাগ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃইসলাম বেবী।এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রভাবশালী সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর।এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা বাবু অমল কান্তি দাশ,বান্দরবান পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম,জেলা কৃষকলীগ সভাপতি শামীম রেজা,পৌর যুবলীগ আহবায়ক আকবর হোসেন,কলেজ ছাত্রলীগ আহবায়ক নাজমুল হোসেন বাবলু,পৌর ছাত্রলীগ আহবায়ক মোঃইসমাইল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
পথসভার প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃইসলাম বেবী বলেন,আজকে থেকে ৩৭ বছর পুর্বে এক দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন শেষে সামরিক বেসামরিক রাঘব বোয়ালদের নানাবিধ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে এই দেশ এবং এই দেশের মানুষের টানে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।সেদিন ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাখো জনতার উপস্থিতিতে প্রিয় বাংলাদেশ এর মাটিতে পা রেখেছিলেন আজকের আধুনিক বাংলাদেশ এর রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।সেদিন বিভিন্ন কুচক্রি মহল তাঁর আগমন ঠেকাতে বহু রকমের ষড়যন্ত্র করেছিলো কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর লাখ লাখ নেতাকর্মীদের হ্নদয় নিংডানো ভালোবাসায় সেইসব ষড়যন্ত্র খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল।আজকে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লাখো কোটি জনতার হ্নদয়ের নেত্রী হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন প্রসুতি হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনারবাংলা সত্যিকারের সোনারবাংলায় পরিনত হচ্ছে ঠিক তখনই পুনরায় নতুন নতুন ষড়যন্ত্র তৈরী করা হচ্ছে।উদ্দেশ্য একটাই উন্নয়ন এর অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়া।এইজন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সকল নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে।উন্নয়ন এর এই অগ্রযাত্রা কে যারা ব্যাহত করতে চায় তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে এবং প্রতিহত করতে হবে।রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আওয়ামী ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নেত্রীর দেয়া ভিশন সফল করতে হবে।ছাত্রলীগকেই রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।এসময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ,সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা মুহর্মুহ করতালির মাদ্ধমে প্রধান অতিথির বক্তব্য কে স্বাগত জানান।এসময় বিশেষ অতিথি মোজাম্মেল হক বাহাদুর বলেন,১৯৮১ সালের ১৭ মে এ দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হাল ধরেছিলেন।মেধা প্রজ্ঞা ও উন্নয়নের মাধ্যমে এদেশকে স্বনির্ভরশীল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার গরীব দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে নিরলসভাবে তিনি কাজ করে চলেছেন।এসয় তিনি নতুন প্রজন্মকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।পথসভায় সঞ্চালনা করেন বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি আশীষ বড়ুয়া।