দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আদায়,সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করতে মূল দলসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোর পুনর্গঠনে কাজ করতে চায় বিএনপির হাইকমান্ড। তবে দীর্ঘদিন নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন, অযোগ্যদের পদায়ন, পদ বাণিজ্যের জেরে দলকে পুনর্গঠিত করতে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে বিএনপিকে। তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই বিএনপিকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে কাজ করছে বিএনপি।
বিএনপির দুজন সিনিয়র নেতার সাথে কথা বলে দল গঠনে চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের বিষয়ে জানা গেছে।
মূল দল সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোর পুনর্গঠন নিয়ে বিএনপিকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে বলে মনে করছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, বিএনপিকে শক্তিশালী করে সরকারি দলকে রাজপথে প্রতিরোধ করতে কাজ করছেন তারেক রহমান। এক্ষেত্রে দল পুনর্গঠনে কিছুটা চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের। সত্যি বলতে-দীর্ঘদিন নেতাদের সঠিক মূল্যায়ন না করা, বিভিন্ন কারণে যোগ্যদের যথার্থ পদায়ন নিশ্চিত করতে না পারায় নতুন করে বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে কিছুটা বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। তবে এটি সাময়িক।
তিনি আরো বলেন, সত্যি বলতে-হাইকমান্ডকে সহযোগী সংগঠনগুলোর উপর ছড়ি ঘোরানো বন্ধ করতে হবে। মূল দলের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অঙ্গ-সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করছেন। যার কারণে ইদানীং বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোতে ছাত্রদল, যুবদল, কৃষকদল, তাঁতীদল, মৎস্যজীবী দলের মতো অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি কমে গেছে। দলের দায়িত্বশীল নেতাদের এমন কর্তৃত্ব ফলানোর প্রচেষ্টা থেকে সরে আসতে হবে। তবেই হয়তো বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনগুলো আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
এদিকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, বিএনপি হলো মূল দল অর্থাৎ মাদার অর্গানাইজেশন। আর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলো হলো এর শাখা-প্রশাখার মতো। তাই অঙ্গ-সংগঠনগুলোর যত্ন নেয়ার দায়িত্ব মূল দলের উপরই বর্তায়। তবে অনেকেই আমাদের এই দায়িত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। যার কারণে দল পুনর্গঠনে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। তবে আশাকরি আগামী এই ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।