জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভক্তি স্পষ্ট করলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। যেসব লক্ষ্যে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছিল, তা পূরণ করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন মান্না। এছাড়া ঐক্যফ্রন্টের কোনো কর্মপরিকল্পনা সম্বন্ধে তাকে অবগত করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তাই অভিমান ও অপমানবোধ থেকে ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার আভাস দিয়েছেন মান্না।
ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার গুঞ্জনের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মাহমুদুর রহমান মান্না’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ১০ জুন ঐক্যফ্রন্ট পরিধি বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেই সম্পর্কে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। অথচ ঐক্যফ্রন্ট গঠন করতে দিন-রাত ড. কামালের কাছে ধর্ণা দিয়েছি আমি। অনেক কষ্ট করে আমি ও ডা. জাফরুল্লাহ ঐক্যফ্রন্ট গঠন করার প্রেক্ষাপট রচনা করেছি। অথচ সেই ফ্রন্টে বিএনপি যোগ দেয়ার সাথে সাথে ড. কামালদের চেহারা পাল্টে গেছে।
তিনি আরো বলেন, সরকারবিরোধী রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করার কথা থাকলেও ঐক্যফ্রন্টের অনেক নেতাই দুমুখো সাপের ভূমিকা পালন করছেন। আর আমার মতো নেতাকে আজকে এড়িয়ে চলা হয়। আমার অজান্তে অনেক সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। তাই চিন্তা করে দেখলাম, যেখানে কদর নেই, সেখানে থাকার কোনো মানে হয় না। দুষ্টু লোকের সাথে চলাফেরা করার চেয়ে একা থাকা অনেক ভালো।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম পরামর্শক ও বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জানতে পারলাম, মান্না ঐক্যফ্রন্টের উপর অভিমান করে নিজেকে আড়াল করে রেখেছে। মান্নার ছেলে মানুষী স্বভাব এখনো দূর হয়নি। অস্থিরতার কারণে মান্না রাজনীতিতে সফল হতে পারেনি। মান্না ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়েছে। তবে এটি সত্য যে ঐক্যফ্রন্টের অভ্যন্তরে যে অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে তা অস্বস্তিকর।
তিনি আরো বলেন, সত্যি বলতে, ঐক্যফ্রন্টের বাইরে মান্নার কোনো আলাদা পরিচয় নেই, সেটি তাকে মানতে হবে। সুতরাং ঐক্যফ্রন্টের উপর অভিমান করে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে মান্না রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঐক্যের শক্তি আর একক শক্তির ফারাক বুঝতে না পারায় অভিমান করেছে মান্না।