বান্দরবান অফিসঃ-বান্দরবান ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার বার্ষিক পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান-২০১৮ অনুষ্ঠিত। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা মাদ্রাসার হল রুমে এর আয়োজন করা হয়।বার্ষিক পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এ.ডি.এম) মুফিদুল আলম।বান্দরবান ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আওয়াল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ,বান্দরবান পৌর সভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী,বাঁশখালী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ বদরুল হক,বান্দরবান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সেক্রেটারী আলহাজ মাহবুবুল আলম।অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক আবুল বশর ছিদ্দিকী,আরবী প্রভাষক মাওলানা বদিউল আলম,সহকারী শিক্ষক মাওলানা ওসমান গণি,মাওলানা নুর মুহাম্মদ ছিদ্দিকি,সহকারী শিক্ষক ক¦ারী ইলিয়াছ, মাওলানা আলী আকবর,সহকারী শিক্ষিকা মমতাজ বেগম,আয়শা ছিদ্দিকা,ইয়াছমিন আক্তার প্রমুখ। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা তথা কেরাত, হাম্দ,নাথ,কবিতা আবৃতি উপস্থিত বক্তিতা সহ অন্যান্য খেলাধূলা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এই পুরুস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিরা বক্তব্য বলেন,লেখা-পড়ার পাশা-পাশি খেলাধূলা মানুষকে সুস্থ শরীর গঠনে সহায়তা করে,খেলাধূলার মাধ্যমে মনকে চিন্তামুক্ত রাখা সম্ভব,আমাদের অন্যান্য কাজের পাশা পাশি খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই” তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোশ্যে বলেন,প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে পড়ালেখা ও পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার খেলাধুলার সাথে পরিচিত করা অতিব গুরত্বপূর্ণ। খেলাধুলার প্রতি অবহেলা আমাদের শিশুদের একটি প্রধান বাধা।খেলাধুলা শিশুদের প্রতিরোধী হতে উৎসাহী করে।মোকাবেলা করতে শেখায়।খেলাধুলা দেহ মন–চরিত্রগঠনে সাহায়তা করে।আসলে এখন আমাদের শিশুরা ফ্ল্যাট বাড়িতে স্কুল গুলো গড়ে উঠছে।এখন কার শিশুরা হাত-পা ছাড়িয়ে খেলাধুলা করার সুয়োগ থেকে বঞ্চিত।আমাদের শিশুদের সঠিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য খেলাধুলা আবশ্যক।অন্যান্য বক্তারা বলেন,আজকের শিশু আগামী দিনের দেশের কর্ণধার,একটি শিক্ষিত জাতি কখনো পিছিয়ে থাকে না,শিক্ষায় জাতির মেরু দন্ড,তাই জ্ঞানী বলেছেন, আমাকে একটি মা দিলে আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিবো।তাই আমাদের ছেলে মেয়েদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে,ইসলামের প্রকৃত জ্ঞানের বাণী সমাজে প্রচার করে সমাজ তথা দেশ থেকে জঙ্গীবাদ,সন্ত্রাস দুর করতে হবে।পরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করা হয়।