![](https://www.chttimes.com/wp-content/uploads/2018/01/FB_IMG_1515531348538.jpg)
![](https://www.chttimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃরফিকুল ইসলাম (লামা) বান্দরবানঃ-লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বেপরোয়া বালু উত্তোলনে চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।ইউনিয়নের সকল গ্রামীণ রাস্তাগুলো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে।অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত সরকার দলীয় নেতারা।যাদের কারণে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে।অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের গুটি কয়েক প্রভাবশালী নেতা।সরকার প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকার রাস্তাঘাট,ব্রিজ,কালভার্ট করলেও বছরের দুই তিন মাস বালু উত্তোলন করতে গিয়ে রাস্তাঘাট নষ্ট করছে বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।উপজেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কোথাও নেই বালুর মহাল।তার মানে প্রতিদিন পাচারকৃত কয়েকশত গাড়ি বালু হতে কোন রাজস্ব পাচ্ছেনা সরকার।নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে এক বালু ব্যবসায়ী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের জব্দকৃত বালুর পারমিট ব্যবহারকরে যাচ্ছে এইসব বালু।জব্দ দেখানো হয়েছে ২০ হাজার ফুট আর সেই কাগজে পাচার হচ্ছে কয়েক লক্ষ ঘনফুট বালু।এই যেন মগের মুল্লুক।নদী,ছড়া ও খাল থেকে বালু উত্তোলনের কারণে ভেঙ্গে যাচ্ছে বিস্তৃর্ণ এলাকা।ধসে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে ইউনিয়নের বড় বড় কয়েকটি ব্রিজ।
স্থানীয়রা জানান,১.ইউনিয়নের ফকিরাঘোনা হতে হারগাজা ডুলহাজারা রোড দিয়ে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ গাড়ি বালু পাচার হচ্ছে।২.ফাঁসিয়াখালী ছড়া হতে কবিরা দোকান হয়ে লামা চকরিয়া রোড দিয়ে প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ গাড়ি বালু পাচার হচ্ছে।৩.বগাইছড়ি খাল হতে বগাইছড়ি-ডুলহাজারা রোড দিয়ে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৯০ গাড়ি বালু পাচার হচ্ছে।প্রতিটি বালুর গাড়ি থেকে উপজেলা প্রশাসনের কথা বলে আওয়ামীলীগের এক নেতা টাকা আদায় করছেন।কোন প্রকাশ অনুমতি ছাড়া রাজস্ব না দিয়ে কিভাবে পাচার হচ্ছে এই বালু???এই প্রশ্নের উত্তর কারো কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।