নানার পকেট থেকে দুইশ টাকা চুরির অপরাধে নাতিকে অমানবিকভাবে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে দ্রুত নির্যাতনের শিকার শিশু মো.তামজিদ (১৩) কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে লামা থানা এবং অভিযান চালিয়ে পাশন্ড নানা আব্দুল মালেক প্রকাশ মানিক মিয়াকে আটক করে লামা থানা পুলিশ।
জানা যায়,শিশুটির বাবা আরেকটা বিয়ে করায় মা রুবিনা আক্তার তার অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে তামজিদকে নানার বাড়িতে রেখে চট্টগ্রাম গার্মেন্টসে কাজ করছিলেন।কিন্তু নানার পকেট থেকে ২০০ টাকা চুরির অভিযোগে নাতি তামজিদকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে আহত করে নানা আব্দুল মালেক।
এদিকে প্রকাশ্যে বেড়ধক পিটানোর সাথে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে এক পর্যায়ে নাতির গলা চেপে ধরে নানা। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। শেষ পর্যন্ত অমানবিকভাবে পেটাতে পেটাতে গাছের সাথে মাথা ঠেকে পেটানোর পর মারতে মারতে নানা নাতিকে বাড়িতে নিয়ে যায়। আর এ ঘটনা ভিডিও করছিল পার্শ্ববর্তী লোকজন।
এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়ার পর সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। আর এতে পুলিশ খবর পেয়েই অভিযুক্ত নানা আব্দুল মালেককে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টায় আটক করে থানায় নিয়ে যায় বান্দরবানের লামা থানা পুলিশ।
এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বান্দরবানের লামা উপজেলার লামা পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের পানির টাঙ্কি এলাকায়। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় এটি জনমনে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
পরে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নানাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে আহত নাতি তামজিদকে লামা থানা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন।ওসি জানান ঘটনাটি কেন ঘটেছে তা পুলিশ আটক অভিযুক্তকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।সেই সাথে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।