অন্যের জায়গায় হুমকি দিয়ে পাহাড় কেটে পুকুর খনন


অন্য মিডিয়া প্রকাশের সময় :১৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ : পূর্বাহ্ণ 153 Views

বান্দরবানের লামা উপজেলার ৫নং সরই ইউনিয়নের ক্যজু পাড়া এলাকায় অবৈধ ভাবে অন্যের দখলকৃত জায়গায় হুমকি, ভয়-ভীতি দেখিয়ে পাহাড় কেটে পুকুর বানিয়ে মাছের প্রজেক্ট করার অভিযোগ উঠেছে ফেরদৌস নামে এক ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে।জায়গার মূল মালিক প্রবাসী হওয়ার কারনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না ভুক্তভোগীর পরিবার।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো.ফরমান উর রশিদ জানান আমার পিতা ফরিদুল আলম অনুমানিক ১৮/২০ বৎসর পূর্বে সিরাজুল ইসলাম,পিতা- মৃত হাজ্বী ফজল করিম, সাং-চিব্বারী,ইউনিয়ন-পদুয়া,থানা- সাতকানিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম হতে ১৫২নং হোল্ডিংয়ের ১৪৫ ও ১৫৬ এর অংশ মোট-২৫ একর পাহাড় শ্রেণীর জায়গা লিজ/খরিদ করেন।সেই মালিকানাধীন পাহাড় শ্রেণীর জায়গা হতে ফেরদৌস নামে এক ব্যবসায়ি জোর খাটিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিজস্ব মানুষ দিয়ে অবৈধভাবে বেশ কিছুদিন যাবত মাটি কাটছে। খবর দৈনিক বায়োজিদ

এ বিষয়ে তাকে বহুবার নিষেধ করলেও সে আমার কোন কথায় কর্ণপাত করছে না।ভুক্তভোগী জানায় তার পিতা একজন প্রবাসি হওয়ায়,মূল মালিকের অনুপস্থিতিতে সে বিভিন্নভাবে হুমকি,ধমকি দিতেছে এবং এই বিয়টির আইনি সহযোগিতার আশায় স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফরমান উর রশিদ বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর,লামা থানা সহ সংশ্লিষ্ট অফিসে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়বস্তু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও সহায়তার জন্য গণমাধ্যমের সহায়তাও কামনা করেছেন অভিযোগকারী ফরমান উর রশিদ।এদিকে অভিযোগের বিষয়ে ব্যবসায়ি ফেরদৌস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান জায়গাটি তার নিজের এবং এখানে তিনি পুকুর খননের জন্য মাটি কেটেছেন,পাহাড় কাটেন নি।তিনি প্রতিবেদক কে জানান ফরিদুল আলমের জায়গা হতে তিনি মাটি কাটেন নি,এই জায়গা ফেরদৌস নিজের বলে দাবি করে বলেন যদি জায়গা তার হয় তাহলে কাগজপত্র দেখাতে বলেন।স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার আছেন তারা যেই সমাধান দিবে আমি মেনে নিবো।
এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঐ জায়গার মালিক প্রবাসী ফরীদুল আলমের কেয়ার টেকার মোঃ বাবুল জনান প্রবাসী ফরিদুল আলম এর ক্রয়কৃত এই জায়গা দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আমি এই জায়গা দেখাশোনার কাজ করছি। দর্জিপাড়ার ফেরদৌস নামে এক ব্যক্তি জোর করে এই জায়গা দখল করছে,এখন এখান থেকে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে।তিনি কি মূলে এটা তার জায়গা বলছে সেটা আমার যানা নেই।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান চৌধুরী’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমার দপ্তরে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে থাকলেও তা এখনো আমার হাতে পৌছে নি।তিনি জানান কোন ক্রমেই পাহাড়ের মাটি কাটার কোন অনুমতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়না আর মাছের প্রজেক্টের জন্য মাটি খনন করলেও তা উপজেলা মৎস অধিদপ্তরের অনুমতির বিষয় আছে।তিনি প্রতিবেদক কে জানান এ বিষয়টি অবগত হয়েছি যতদ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!