বান্দরবানে বিএনপির কর্মী সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা


প্রকাশের সময় :১৮ মে, ২০১৭ ২:৩২ : পূর্বাহ্ণ 658 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বান্দরবানে বিএনপির কর্মী সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিবদমান দুটি গ্রুপের একটি কর্মী সমাবেশের জন্য প্রশাসনের নিকট আবেদন করলেও অপর গ্রুপ আবেদনকারী কমিটিকে অবৈধ আখ্যায়িত করে কর্মী সম্মেলনের অনুমতি না দেয়ার জন্য আবেদন করেছে। আগামী ১৯ মে শহরের কাছে মেঘলা পর্যটন মোটেল সংলগ্ন আবাসিক হোটেল নাইট হেভেনে এই কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।তবে প্রশাসন উভয়পক্ষের আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে ঘোষিত জেলা বিএনপির কমিটি এই কর্মী সমাবেশের আয়োজন করেছে। এতে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রধান অতিথি ও চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান শামীম বিশেষ অতিথি থাকবেন।সভাপতিত্ব করবেন জেলা বিএনপির সভানেত্রী মাম্যাচিং। সমাবেশের অনুমতি চেয়ে নবগঠিত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন।অন্যদিকে পূর্বের কমিটির যুগ্ন সম্পাদক মুজিবুর রশিদসহ অন্যান্য নেতারা বর্তমান কমিটিকে সম্মেলনের অনুমতি না দেয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট পাল্টা আবেদন করেছেন।আবেদনে তারা জানান,কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে বিএনপির নামধারী একটি চক্র কর্মী সমাবেশের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে বিবদমান সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের সমাবেশ করা হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে।অবেদনকারী বিএনপির নেতা মুজিবুর রশিদ জানান,গত ১০ বছর ধরে সাচিং প্রু জেরীর নেতৃত্বে জেলা বিএনপি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠিত হওয়ার পর গত ১৮ এপ্রিল সাচিং প্রু জেরীর সমর্থকরা চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করলে তিনি উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।পরিস্থিতি স্বভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান কমিটিকে কার্যক্রম না চালানোর জন্য কেন্দ্রীয় নেতারা নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান মুজিবুর রশিদ।এ পরিস্থিতিতে কর্মীসমাবেশ করা হলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে বলে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন।এদিকে, বান্দরবান জেলা বিএনপিতে দীর্ঘদিন থেকেই নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব চলে আসছে।বোমাং রাজপুত্র সাচিং প্রু জেরী ও রাজপুত্রবধূ মাম্যাচিং-এর মধ্যে এই দ্বন্দ্ব।এ দ্বন্দ্বের কারণে ২০০১ সালে মাত্র সাড়ে আটশ ভোটের ব্যবধানে মাম্যাচিং আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর বাহাদুরের কাছে পরাজিত হন।সে সময়ে দলের মনোনীত প্রার্থী মাম্যাচিং-এর বিপক্ষে গিয়ে নির্বাচন করেন সাচিং প্রু জেরী।পরবর্তীতে মাম্যাচিং দীর্ঘদিন দলের সভানেত্রী ছিলেন।আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে সাচিং প্রু জেরীকে সভাপতি ও আজিজুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা বিএনপির কমিটি গঠিত হয়।সম্প্রতি এই কমিটি ভেঙে দিয়ে মাম্যাচিংকে সভানেত্রী ও সাবেক পৌর মেয়র জাবেদ রেজাকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র।এই কমিটিকে অবৈধ আখ্যায়িত করে দলের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নির্বাচন দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন সাচিং প্রু জেরী সমসর্থকরা। কমিটি বাতিলের দাবিতে নেতাকর্মীরা ঢাকায় মানববন্ধনও করেছেন।এর মধ্যেই নতুন কমিটি কর্মীসমাবেশের ডাক দেয়ায় উভয়পক্ষে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।যে কোন সময় এ নিয়ে সংঘর্ষ ও অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করছেন নেতাকর্মীরা।কর্মী সমাবেশের বিষয়ে নবগঠিত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা জানিয়েছেন, দলকে গতিশীল করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশে কর্মীসমাবেশ ডাকা হয়েছে।এতে জেরী গ্রুপের বাধা দেয়ার মত তাদের কোনো শক্তি নেই।যেহেতু কেন্দ্র থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে এই কমিটিকে অবৈধ বলারও কোন সুযোগ নেই। দলকে চাঙ্গা করতে সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করার জন্যই কর্মীসমাবেশ।(((পুর্বকোন)))

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!