শিরোনাম: নাইক্ষ্যংছড়িতে ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত প্রবারনা পূর্নিমা ও কঠিন চীবর দান উপলক্ষে স্থানীয় খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকদের মতবিনিময় ও শুভেচ্ছা উপহার বিতরন প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে আর্থিক অনুদান বিতরন করলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বান্দরবানে নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করলো বান্দরবান সেনা জোন বান্দরবানে বিশেষ টাস্কফোর্স এর অভিযান দুর্গাপূজা অশুভশক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তিতে রূপান্তরিত করবেঃ উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা লামায় মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা

ভোটাধিকার হরণের প্রতীক ‘ধানের শীষ’কে আঁকড়ে ডুবন্ত তরী বাঁচানোর চেষ্টায় ড. কামাল


প্রকাশের সময় :১৯ নভেম্বর, ২০১৮ ৪:২৮ : অপরাহ্ণ 549 Views

নিউজ ডেস্কঃ- ৩৭ বছর আগে ড. কামাল আক্ষেপ নিয়ে বলেছিলেন ‘ধানের শীষ’ প্রতীক হলো জনগণের ভোটাধিকার হরণের প্রতীক। ধানের শীষে ভোট দিলে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হবে।

রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই, সেটি আবারও প্রমাণ করলেন ড. কামাল হোসেন। রাজনৈতিক লোভ ও লালসা মেটাতে সেই ধানের শীষকেই ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসার স্বপ্ন দেখছেন ড. কামাল হোসেন। ডুবন্ত তরী রক্ষা করতে ড. কামাল নিজের আদর্শ ও নীতিকে অর্থ ও ক্ষমতার কাছে বিক্রি করে দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে আঁকড়ে ধরার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।

বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা যায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম একটি কলঙ্কিত নির্বাচন ছিলো ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর শুধুমাত্র বিএনপির প্রার্থী বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে প্রেসিডেন্ট বানানোর জন্য সংবিধান সংশোধন করে তাকে প্রার্থী হিসেবে যোগ্য করা হয়। তৎকালীন সময়ে সংবিধান সংশোধনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন ড. কামাল। ওই নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী আবদুস সাত্তারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ড. কামাল হোসেন। ভোট জালিয়াতি, ভোট ডাকাতি, প্রহসনের নির্বাচনের ফলাফলে আবদুস সাত্তার ভোট পান ১ কোটি ৪২ লাখ আর ড. কামাল হোসেন পান মাত্র ৫৬ লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনের ভোট গণনার কিছুক্ষণের মধ্যে এটি যে এক প্রহসনের নির্বাচন তা স্পষ্ট হয়ে যায়। যেখানে বিএনপির পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল ড. কামাল ১ কোটি ভোটে পরাজিত হবে।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগেই হোটেল পূর্বাণীতে ড. কামাল হোসেন একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ধানের শীষ প্রতীক বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে। ধানের শীষ প্রতীক হলো প্রতারণা, প্রবঞ্চনার প্রতীক। ধানের শীষ প্রতীক হলো জনগণের ভোটাধিকার হরণের প্রতীক। এই প্রতীকের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাস কলঙ্কিত করা হয়েছে। তৎকালীন সময়ে চট্টগ্রামে মিছিল বের হয়েছিল…..’হই হই রই রই কামাইল্যা তুই গেলি কই`।

যে বিএনপি ড. কামাল হোসেনকে পদে পদে অপমান ও অপদস্থ করেছে। ক্ষমতা ও লোভে পড়ে ড. কামাল সব ভুলে গিয়ে এখন প্রতারণা, প্রবঞ্চনার সেই ‘ধানের শীষ’ প্রতীককেই আঁকড়ে ধরেছেন।

প্রচলিত একটি কথা আছে যে, ক্ষমতার লোভ মানুষকে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে তোলে। অর্থ ও ক্ষমতালোভী জ্ঞানপাপী লোকেরা ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে থাকে। ভেড়ার ছালে নেকড়ে বাঘের বেশ ধারণের মতো। ড. কামালও সেই মুখোশ পরিহিত প্রতারকদের দলে ভিড়েছেন। তবে বিএনপির যে ইতিহাস, তাতে স্বার্থ উদ্ধারের পর শেষ পর্যন্ত ড. কামালকে তারা ছুঁড়ে ফেলবে না এটির কোন গ্যারান্টি নেই।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!