শিরোনাম: খেলাধূলার পাশাপাশি পড়াশোনার প্রতিও শিক্ষার্থীদের মনযোগী হতে হবেঃ ডিসি শামীম আরা রিনি বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর সভাপতি নির্বাচিত হলেন মামুনুর রশীদ বান্দরবানে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুনঃ ডিসি শামীম আরা রিনি বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের দুই সন্ত্রাসী আটক বান্দরবানে তারুণ্যের উৎসবঃ উদ্বোধনের অপেক্ষায় জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ রোয়াংছড়ি আর্মি ক্যাম্পের উদ্যোগে মাতৃদুগ্ধ পোষ্যকালীন মায়েদের সহায়তায় বিশেষ অনুষ্ঠান ও উপহার বিতরণ

গৌরবোজ্জ্বল সেনাবাহিনী নিয়ে ফেসবুকে নির্মম মিথ্যাচার


অনুলেখক (লুৎফুর রহমান উজ্জ্বল,এডিটর-সিএইচটি টাইমস ডটকম) প্রকাশের সময় :২১ এপ্রিল, ২০১৭ ১১:৩৬ : অপরাহ্ণ 1094 Views

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রমেল চাকমার মৃত্যু নিয়ে একধরনের অপপ্রচারে নেমেছে কতিপয় ফেসবুক ব্যাবহারকারী দুষ্কৃতিকারীরা।এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে পার্বত্য অঞ্চলে।পার্বত্য অঞ্চলের সচেতন জনগোষ্ঠীর ভাষ্য,পার্বত্য অঞ্চলে যখন বর্তমান সরকার কতৃক উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে এবং এসব উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পার্বত্য অঞ্চলে কর্মরত সেনা সদস্যরা যখন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে ঠিক তখনই বাংলাদেশ সরকার গৃহীত নানা উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে ব্যাবহার করে বহিবিশ্বে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার অপচেষ্টা করছে একটি মহল।

 

খবরে প্রকাশ,গত ২৩ জানুয়ারি রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় চাঁদার দাবীতে মালভর্তি ট্রাকে আগুন লাগিয়ে ভস্মিভূত করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা।যা নিয়ে দীর্ঘ তদন্ত করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।তদন্তে মালভর্তি ট্রাকে অগ্নিসংযোগকারী হিসেবে রমেল চাকমার নাম তদন্ত কর্মকর্তারা জানতে পারেন।

 

মূলত সেদিন রমেল চাকমার নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি উপজাতীয় সন্ত্রাসী দল চাঁদার দাবীতে নৃশংস তান্ডব চালায়।দীর্ঘ তদন্ত শেষে এ ঘটনার দায়ে গত ৫ এপ্রিল নানিয়ারচর বাজার থেকে রমেল চাকমাকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী।নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র জানায়,রমেল চাকমা নানিয়ারচরে দুটি ট্রাকে আগুন দেবার মামলার প্রধান অভিযুক্ত।তদন্তের মাধ্যমে স্থানীয়দের থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে তাকে আটক করা হয়।আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রমেল চাকমা নিজেকে ট্রাকে অগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেন বলে নিরাপত্তা বাহিনী জানায়।আটকের পরবর্তী সময়ে স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর রমেল চাকমা বুকে ব্যথা অনুভবের কথা জানালে পুলিশ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

 

এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।কিন্তু বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় রমেল চাকমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর পরপরই তিন পার্বত্য জেলার চিহ্নিত কিছু ফেসবুক ব্যাবহারকারী সেনাবাহিনীর নির্যাতনেই রমেল চাকমার মৃত্যু হয়েছে বলে জোরেশোরে প্রচার শুরু করে।আর এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে রাঙ্গামাটি সেনাবাহিনীর নানিয়ারচরে কর্মরত মেজর তানভীর নামে একজন সেনা কর্মকর্তা কে।এসব ফেসবুক ব্যাবহারকারীরা মেজর তানভীর এর একটি পারিবারিক ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তাকে রমেল চাকমার খুনী হিসেবে আখ্যায়িত করছে।সচেতন মহলের প্রশ্ন সেনা কর্মকর্তা মেজর তানভীর কেনও রমেল চাকমা কে হত্যা করবে?

 

মেজর তানভীর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এর সার্বভোমত্ব রক্ষার শপথ নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তে কর্মরত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে তদন্তে উঠে আসা প্রধান অভিযুক্ত আসামি রমেল চাকমা কে আটক করে ছিলেন,তাই বলে কি তাকে নিয়ে তাঁর পারিবারিক একটা ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করে ক্যাপশনে হত্যাকারী কিংবা খুনী হিসেবে আখ্যায়িত করতে হবে?সচেতন মহল বলছে,পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের চাদাবাজী বন্ধে সেনাবাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিধায় চাদাবাজঁ সমর্থকদের অর্থায়ন ও পৃষ্ঠপোষকতায় এই ধরনের অপপ্রচার পরিচালিত হচ্ছে।এসব অপপ্রচার বন্ধে নিরাপত্তা বাহিনী কে আরও মনযোগী হওয়ার আহবান জানিয়েছে তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত শান্তিপ্রিয় সচেতন জনসাধারণ।তাঁরা বলছেন এসব অনলাইন সন্ত্রাসীদের এখনই চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করা না গেলে তাদের এসব দুর্বৃত্তপনা বন্ধ হবেনা।

 

বরং আজকে একজন মেজর নিয়ে মিথ্যাচার করছে কালকে আরও উর্ধ্বতন কোনও কর্মকর্তাকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করবেনা তাঁর গ্যারান্টি কোথায়,প্রশ্ন সচেতন মহলের।মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া গৌরবোজ্জ্বল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে তুলনা করার মতো ধৃষ্টতা দেখিয়ে ফেসবুকে বিবৃতি প্রদানকারী কতিপয় সংগঠকদের এই ক্ষমতার উৎস কোথায় তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
February 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!