

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প এর আওতায় সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।২১নভেম্বর (রবিবার) দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প এর আয়োজনে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের হলরুমে এই সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার সুইটির সঞ্চালনায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে এসময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।এসময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা: অংসুই প্রæ মারমা,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আব্দুল কুদ্দুস ফরাজী।এসময় সভায় বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অতিরিক্ত পরিচালক মো.মতিয়ার রহমান, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার অমিত রায়,সিমন সরকার,মো.কায়েসুর রহমান,জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শিলাদিত্য মুৎসুদ্দি, স্থানীয় সরকার প্রকৗশল অধিপ্তর (এলজিইডির) সহকারী প্রকৌশলী জয় সেন,জেলা শিল্পকলা একাডেমির সারারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, প্রেসক্লারে সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু,পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্রীরুপ মজুমদার, বান্দরবান কার্যালয়ের পরিদর্শক মো.আব্দুছ ছালাম, মো.আশফাকুর রহমানসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মুফিদুল আলম বলেন,দিন দিন শব্দদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।শব্দদূষণের কারণে বিভিন্ন রোগব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে এবং অনেকেই বধির হয়ে পড়ছে। এসময় তিনি আরো বলেন,শব্দদূষণের উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো দ্রুত নগরায়ন,যান্ত্রিক যানবাহন বৃদ্ধি,যানবাহনের অনিয়ন্ত্রিত হর্ণ ব্যবহার,অপরিকল্পিত শিল্প কল-কারখানা,নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা নানা ধরণের যন্ত্রাংশ।এসময় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মুফিদুল আলম সবাইকে পরিবেশ সুরক্ষায় শব্দদূষণ রোধ করার অনুরোধ জানান।সভায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,আমাদের সকলের বেঁচে থাকার প্রধান উপাদনই হলো পরিবেশ আর এই পরিবেশ যদি ভালো না হয় তবে আমরা নানা ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হবো। এসময় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি আরো বলেন,শব্দদূষণ রোধ করার জন্য আমাদের পরিবেশ অধিদপ্তর এর পাশাপাশি প্রশাসন,আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।জেলা প্রশাসক সংস্কৃতিগত পরিবর্তন এবং ধর্মীয় মুল্যবোধের চর্চা প্রয়োগের মাধ্যমে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।