“বান্দরবানে সুস্থ শরীর সুস্থ মন,যদি থাকে সমৃদ্ধ বন” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বন দিবস- ২০২৩ পালিত হয়ছে।মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।বান্দরবান এর উপবন সংরক্ষক,বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হক মাহবুব মোরশেদ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো.শাহ আলম,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরোজ,জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাস,প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী বন সংরক্ষক রিটা আক্তার।এছাড়াও ফরেস্ট বিভাগের কর্মকর্তা,প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ,বান্দরবান এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠান এর সঞ্চালনায় ছিলেন রেঞ্জ কর্মকর্তা জুয়েল চৌধুরী।অনুষ্ঠানে অতিথিরা আন্তর্জাতিক বন দিবস এর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,বনের সঙ্গে জীববৈচিত্র্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত।জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০২৩ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলে গাছ কাটার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।এটা একটি সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত।এসময় বক্তারা,বন রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
অতিথিরা আরও বলেন,মূলত মানুষকে গাছের গুরুত্ব বোঝাতেই দিবসটি পালন করা হয়।এর মধ্যে বৃক্ষরোপণও অন্তর্ভুক্ত।জলবায়ু পরিবর্তনের অশনি বিপদ থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে বনের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।গাছ থাকলে নিরাপদ থাকবে পরিবেশ।অক্সিজেন বৃদ্ধির পাশাপাশি সবুজ বন পরিবেশের ভারসাম্যও বজায় রাখে।তাই প্রত্যেকেরই উচিত নিজের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে বেশি বেশি গাছ লাগানো।উল্লেখ্য,বন ও বনভূমির নিরাপত্তা রক্ষার্থে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ২১ মার্চকে আন্তর্জাতিক বন দিবস ঘোষণা করা হয়।সেই থেকে সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।