শিরোনাম: খেলাধূলার পাশাপাশি পড়াশোনার প্রতিও শিক্ষার্থীদের মনযোগী হতে হবেঃ ডিসি শামীম আরা রিনি বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর সভাপতি নির্বাচিত হলেন মামুনুর রশীদ বান্দরবানে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুনঃ ডিসি শামীম আরা রিনি বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের দুই সন্ত্রাসী আটক বান্দরবানে তারুণ্যের উৎসবঃ উদ্বোধনের অপেক্ষায় জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ রোয়াংছড়ি আর্মি ক্যাম্পের উদ্যোগে মাতৃদুগ্ধ পোষ্যকালীন মায়েদের সহায়তায় বিশেষ অনুষ্ঠান ও উপহার বিতরণ

বান্দরবানের বিএনপিতে সাবেক দুই ছাত্রনেতার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়ায় তৃণমূলে ক্ষোভ 


প্রকাশের সময় :৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ৪:৪৮ : পূর্বাহ্ণ 1158 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বান্দরবান পার্বত্য জেলার ছাত্র রাজনীতির দুই প্রবাদপুরুষ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে প্রভাবশালী যুবনেতা মশিউর রহমান মিটন এবং সেচ্ছাসেবক দল নেতা জাহাঙ্গীর আলম।যাদের হাত ধরেই বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ছাত্রদলের রাজনীতিতে আজকের এই দৃঢ় অবস্থান তৈরী হয়েছে।দুই ছাত্রনেতারাই বান্দরবান জেলা ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে সফলতার সাথে বিদায় নিয়ে পরবর্তীতে একজন জেলা যুবদল সভাপতি এবং অন্যজন জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক হিসেবেও সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।দুজনই তাদের কর্মীবান্ধব রাজনীতির কল্যাণে জেলা বিএনপির রাজনীতিতে জায়গা করে নেন এবং বিভিন্ন সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ঝড় তুলেছিলেন।এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিলো কিন্তু বিগত পৌরসভা নির্বাচনে তৎকালীন জেলা বিএনপি কতৃক মনোনীত মেয়র প্রার্থী কেন্দ্র থেকে পৌর নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক না পাওয়ায় বান্দরবানের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।একপর্যায়ে বিগত পৌরসভা নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর মশিউর রহমান মিটন ও জাহাঙ্গীর আলম কে বহিষ্কার এবং অপর দুই নেতা আব্দুল কুদ্দুছ চেয়ারম্যান ও নাছির উদ্দিন চৌধুরী শোকজ পাঠায় কেন্দ্রীয় বিএনপি।আকস্মিক ওই বহিষ্কার আদেশে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে তৃণমূল নেতাকর্মীরা এবং বহিষ্কারের প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল বের করে।বান্দরবানের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ধারনা বান্দরবানের কতিপয় বিএনপি নেতা তাদের মিটন-জাহাঙ্গীর কে সংগঠন থেকে দুরে সরিয়ে রাখতেই মূলত পৌর নির্বাচনকে ইস্যু বানিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি কতৃক বহিষ্কার করায়।যা এখনও পর্যন্ত তৃণমূল নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেনি।যে কারণে বহিষ্কার আদেশ মাথায় নিয়েও দলের বিগত আন্দোলন সংগ্রামের প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তারা সবসময় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।এরুপ অবস্থায় দিন দিন তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবি উঠছিলো এবং এটা এখন বান্দরবানের সর্বস্তরের বিএনপি নেতাকর্মীদের জনদাবীতে পরিণত হয়েছে।কেন্দ্র থেকে বারবার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়ার গুন্জন থাকলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় প্রত্যাহার আদেশ বারবার পিছিয়েছে।প্রত্যাহার আদেশটি কার্যকর না হওয়ায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ বড় নাকি বান্দরবানের কতিপয় বিএনপি নামধারী দুর্বৃত্তদের আর্থিক সহযোগিতার নির্দেশ বড়।বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার না হওয়ায় নেতাকর্মীরা দিনকে দিন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।বান্দরবানের বিএনপি রাজনীতিতে হাজার হাজার নেতাকর্মী তৈরি হবার পেছনে দুই বহিষ্কৃত নেতা মশিউর রহমান মিটন এবং জাহাঙ্গীর আলমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।মশিউর রহমান মিটন এবং জাহাঙ্গীর আলম দুজনেরই রয়েছে নেতৃত্ব দেয়ার ক্যারিশম্যাটিক গুনাবলী।বান্দরবানের ৭টি উপজেলা এবং ২টি পৌরসভার এমন কোনও কমিটির নেতা খুজেঁ পাওয়া যাবেনা যারা এই দুই ছাত্রনেতার হাত ধরে তাদের নিজেদের অবস্থান সুসংহত করেনি।সমগ্র জেলার বিএনপি রাজনীতিতেই শুধু নয় প্রতিপক্ষের আরেক বড় সংগঠন বান্দরবানের আওয়ামীলীগ এর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নেতাকর্মীরাও এই দুই ছাত্রনেতার রাজনৈতিক কর্মকান্ড কে সমীহ করে থাকে।দুজনই তুখোড় বক্তা হিসেবে মাউথ স্পীকার হাতে নিয়ে বর্তমান সরকারের প্রতিটি অন্যায় অবিচারে বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলে ধরেন।এমন অবস্থায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের একটাই ভাষ্য যে দুই সাবেক ছাত্রনেতারা আজকের বান্দরবানে জেলা বিএনপির রাজনীতি কে সুসংহত করতে গিয়ে বারবার কারাবরণ করেছে,নিজদলীয় একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে অযথা মিত্থা মামলার আসামি হয়েছে,বিভিন্ন সময়ে পুলিশী হয়রানির স্বীকার হতে হয়েছে এমনকি পুলিশের দফায় দফায় তল্লাশি অভিযানের কারণে দিনের পর দিন বৌ বাচ্চা নিয়ে বাসায় ঠিকমতো ঘুমাতে পারেনি সময় হয়েছে তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়ার।এসব ছাত্রনেতাকে দলীয় কার্যক্রমে বহিষ্কার করে রেখে দলের কোনও লাভ হবেনা উল্টো কর্মীবান্ধব এইসব নেতারা না থাকলে দলের ক্ষতি হবে।নেতাকর্মীদের ভাষ্যমতে,বহিষ্কার এর মাধ্যমে দলের ত্যাগী দুই নেতার উপর অবিচার করা হয়েছে।সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।নির্বাচনের এই লড়াই হবে বিএনপির জন্য বাচাঁ মরার নির্বাচনী লড়াই।এই নির্বাচনে বান্দরবান জেলায় বিএনপির ভোটের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে মশিউর রহমান মিটন এবং জাহাঙ্গীর আলম এর অবৈধ এবং গঠনতন্ত্র বিরোধী বহিষ্কার আদেশ অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।এবিষয়ে মশিউর মিটন এবং জাহাঙ্গীর আলম সিএইচটি টাইমস ডটকম কে বলেন,দীর্ঘ আঠাশটি বছর ধরে বান্দরবান জেলায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারুন্যের স্পন্দন জননন্দিত জননেতা তারেক রহমানের হাত কে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি।শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে কোনও অপশক্তির সামনে অতীতের কোনও সময় মাথানত করি নাই,আগামীতেও করবোনা।অর্থের অবৈধ ব্যাবহার দিয়ে হয়তো বহিষ্কার এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি তৈরী করা যায় কিন্তু নেতাকর্মীদের ভালোবাসা অর্থের অবৈধ ব্যাবহার দিয়ে তৈরী করা যায়না।তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আমাদের রাজনৈতিক পথচলায় পালস্ হিসেবে কাজ করে।তৃণমূলে বিএনপি সুসংহত করতে অতীতের ন্যায় আগামীতেও কাজ করে যাবো।বহিষ্কার আদেশ দিয়ে পোড় খাওয়া জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সৈনিকদের কখনও দমিয়ে রাখা যাবেনা।বান্দরবান জেলা বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরাই আমাদের অক্সিজেন।নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও বান্দরবানে বিএনপির রাজনীতি কে আওয়ামী এজেন্ট মুক্ত করা হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
February 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!