যৌথ বাহিনীর অভিযানঃ তিন উপজেলায় স্থগিত হলো ভোট


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ৩:০৪ : অপরাহ্ণ 178 Views

বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো.জাহাংগীর আলম।তিনি বলেন,যৌথ অভিযান এর মধ্যে বান্দরবানের থানচি,রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।পরে সুবিধাজনক সময়ে এ তিন উপজেলার ভোট করা হবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা ভোট নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত হয়।চার নির্বাচন কমিশনার,জননিরাপত্তা বিভাগ, জনপ্রশাসন,পুলিশ,বিজিবি,র‌্যাবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংশ্লিষ্ট সচিবদের নিয়ে এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভা শেষে ইসি সচিব মো.জাহাংগীর আলম জানান,সভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান,উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে-এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে।চার ধাপে ভোট হওয়ায় জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী মোতায়েন করা হবে।পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশেষ করে রুমা,থানচি ও রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।আপাতত এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।পরে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে।

মো.জাহাংগীর আলম বলেন,অপারেশন চলমান থাকায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন পরে করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।আগামী ৮ মে রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।রুমার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে ২১ মে।এবার প্রথম ধাপে ১৫০ ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।তৃতীয় ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী।পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের চারটি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা।অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে।দু-দিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি।

রুমার ঘটনার একদিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিনদুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী।অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী,বিজিবি,র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী।যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী।যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭১ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে সোমবার পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের এক ‘সদস্যের’ নিহতের খবর জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!