ক্রীড়াঙ্গন যেনো রাজনৈতিক মানুষের আখড়া।বিভিন্ন ফেডারেশন ও সংস্থায় বসানো হয়েছে দলীয় লেবাসধারীদের। যাদের দাপটে কোনঠাসা হয়ে থাকতে হয়ে প্রকৃত ক্রীড়া সংগঠকদের।ক্রিকেট ও ফুটবলের সাবেক তারকারা চান, এবার ইতিবাচক পরিবর্তন আসুক।
সরকার পতনের প্রভাব পড়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও। খেলাধুলার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না থাকার পরও ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দলীয় লোকজন।এখন মানুষ পরিবর্তন চায়।বিসিবিতে নাজমুল হাসান পাপনের আধিপত্য প্রায় এক যুগের।পরিচালদের প্রায় সবাই আওয়ামী ঘরানার।তাদের স্বজনপ্রীতিতে ক্রিকেটে চলেছে নজিরবিহীন অনিয়ম।
এবার খেলার অঙ্গন রাজনীতিকমুক্ত হোক। এমন একটা বিসিবি দেখতে চান সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তার চাওয়া,মেধাবীদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক দেশের ক্রিকেট।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক রদবদলের সূচনা হয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।এরই মধ্যে সরকারি দপ্তর, আদালত এবং ক্রীড়াঙ্গনেও পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দেশ ত্যাগ করেন তিনি।
এরপর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন।এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় নিয়োজিত ব্যক্তিরাও সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।এর মধ্যে রয়েছে ক্রীড়াঙ্গনও।সর্বশেষ খবর অনুযায়ী,যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী আরিফ বিল্লাহকে তথ্য অধিদপ্তরে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে মোট ৪২ জনকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে ফেরত নেওয়ার কথা জানানো হয়।এই ঘটনাগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, আগামী দিনগুলোতে দেশের রাজনীতি এবং প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল আসছে।