বান্দরবানের মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তায় উচ্চ ক্ষমতার সিসি ক্যামেরা


প্রকাশের সময় :১৩ মে, ২০১৮ ৯:৫২ : অপরাহ্ণ 546 Views

মিয়ানমারের সঙ্গে বান্দরবানের সীমান্ত নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।এর মধ্যে রয়েছে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ,সোলার লাইট ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন।চলছে সড়ক নির্মাণের কাজ। নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে ৪৫টি সোলার লাইট পোস্ট বসানো হয়েছে।নোম্যান্স ল্যান্ডের কোনারপাড়া রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পের আশপাশে বসানো হয়েছে চারটি ক্লোজ সার্কিট (সিসি ক্যামেরা)।টেকনাফে ৩টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে।সেখানে নাইট ভিশন ক্যামেরা, অত্যাধুনিক সার্চ লাইট ও বিভিন্ন ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে।

বিজিবি সূত্র জানায়,মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩৩৫ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।নাফ নদীর মধ্যে ৬৩ কিলোমিটার জুড়ে মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত ও স্থল সীমান্ত ২৭২ কিলোমিটার।বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি,আলীকদম,থানচি ও রুমা উপজেলার সঙ্গে রয়েছে ১৭২ কিলোমিটার মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত।দীর্ঘ এ সীমান্তে বিজিবির ভিওপি ক্যাম্প রয়েছে ৭৪টি।এর মধ্যে থানচি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের আওতায় ১৫টি,আলীকদমে ৭টি, নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৪টি,রামুতে ৬টি,কক্সবাজারে ১০টি ও টেকনাফে ১২টি।

অপরদিকে বান্দরবান বিজিবি আওতায় রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি ভারত সীমান্তে আছে ৮টি ভিওপি ক্যাম্প।সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে বান্দরবানের চারটি উপজেলা সীমান্তে ওয়াকওয়ে বা সীমান্ত সড়কপথ তৈরি করা হচ্ছে।অপরদিকে নিরাপত্তা বাড়াতে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টের পিলার বসানো হচ্ছে ও বসানো হচ্ছে সোলার লাইট।বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়নের কর্মকর্তা লে. কর্নেল মো. খালিদ আহমেদ জানান,সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে বিজিবি বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।তারমধ্যে কোনারপাড়া সীমান্তে ৪টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রাথমিকভাবে ৪৫টি সোলার লাইট পোস্ট লাগানো হয়েছে।নিরাপত্তা বাড়াতে সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে বিজিবি সীমান্ত সড়কপথ নির্মাণের কাজ করছে। বিজিবির একটি ভিওপি থেকে আরেকটি ভিওপি পর্যন্ত প্রাথমিক ভাবে ওয়াকওয়ে সড়কপথ তৈরি হচ্ছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!