নীল অর্থনীতিতে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ


প্রকাশের সময় :২৮ মে, ২০১৮ ৮:৪০ : অপরাহ্ণ 678 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-জল, স্থল এবং অন্তরীক্ষে আজ সমানভাবে নিজেদের পদচারণা রেখে যাচ্ছে অদম্য বাংলাদেশ। জল, স্থল ও অন্তরীক্ষে স্বমহিমায় নিজের নামাঙ্কিত করছে দুর্বার উন্নয়নের ধাবিত এই দেশ । প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৭ হাজার ১৬০ একর জমি বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই অর্জনের মাধ্যমে ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের অধীনে চলে আসে। নতুন জীবন, নিজের দেশের নাগরিকত্ব পান ছিটমহলে বসবাসকারী ৩৭ হাজার ৩৩৪ জন মানুষ। মহাকাশে ‘বঙ্গবন্ধু -১’ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ৫৭ তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য বাংলাদেশ। ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা চুক্তিতে আজ বিশাল সমুদ্র সীমার মালিক এই দেশ। আজ দেশে এবং দেশের বাহিরের প্রতিটি কোণায় বাংলাদেশের জয়োগান।

ভারতের সঙ্গে সমুদ্র জয়ে বিরোধপূর্ণ ২৫,৬০২ বর্গকিলোমিটার এলাকার ভিতরে বাংলাদেশের ১৯,৪৬৭ বর্গকিলোমিটার এবং ভারতের ৬,১৩৫ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্রসীমা রয়েছে ২০০ নটিক্যাল মাইল। ভারত এবং মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্র জয়ের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি সামুদ্রিক এলাকার মালিক বাংলাদেশ এবং প্রাণীজ ও অপ্রাণীজ সম্পদের ও মালিক। সমুদ্র বিজয়ের এই বিপুল সম্ভাবনা বাংলদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরো গতিশীল করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও সমুদ্রের নিচে অনেক সামুদ্রিক প্রাণী যেমন : মাছ,শৈবাল ইত্যাদি। সামুদ্রিক মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানীকরণের প্রক্রিয়া সচল হলে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

বিশ্বে অনেক দেশে সামুদ্রিক শৈবালের চাহিদা ব্যাপক। জাপান, চীন, কোরিয়া, ফিলিপাইন বিভিন্ন দেশে শৈবাল এক অনন্য অর্থকরী সবজি। আমাদের দেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠী শৈবাল খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। নানারকম পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন, খনিজ ও আয়োডিনের বিশাল আধার এই সামুদ্রিক শৈবাল। টোকিও সর্বপ্রথম ১৬৭০ সালে শৈবাল চাষ শুরু করে এবং ধীরে ধীরে তা অর্থকরী সবজি হিসেবে রূপান্তরিত হয়।

আমাদের দেশের সমুদ্র সীমায় রয়েছে এরকম অনেক শৈবাল এবং মাছ যার মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। দেশে পূরণ হবে পুষ্টির চাহিদা। গড়ে উঠতে পারে চাষকৃত একটি শৈবাল শিল্প। অপ্রাণিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে বিপুল পরিমানের গ্যাস ক্ষেত্র।

নীল অর্থনীতিকে ঘিরে গড়ে উঠছে বিভিন্ন অবকাঠামো যেমন: জাহাজ নির্মাণ শিল্প, কোস্টাল শিপিং, পরিবেশবান্ধব জাহাজভাঙ্গা শিল্প, সামুদ্রিক জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার, সামুদ্রিক লবন উৎপাদন, সামুদ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, সামুদ্রিক পর্যটনের বিভিন্ন খাত, সমুদ্র অর্থনীতিকেন্দ্রিক মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা প্রণয়নসহ বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়, দূরদর্শী নেতৃত্বর ফলে দেশ আগাচ্ছে অদম্য এক সাফল্যের দিকে। দেশ আজ সকল স্তরে উন্নত হয়েছে, লাভ করেছে সফলতা। বিশ্ব এক সময় যে দেশকে দরিদ্র ও ক্ষুধায় জর্জরিত দেশ হিসেবে চিনত, সেই দেশ আজ নিজ অর্থায়নে করছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। দেশের দক্ষিণ -পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ সহ আজ পুরো দেশের মানুষ আনন্দিত ,গর্বিত। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রেখে সরকার দেশকে নিয়ে যাবে অভাবনীয় এক সাফল্যের দিকে এই প্রত্যাশা দেশের সকল মানুষের।

মোহাম্মদ সোহেল, সাংবাদিক

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
March 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728  

error: কি ব্যাপার মামা !!