ভারতের সঙ্গে আরও তিন রেল সংযোগ চালু হচ্ছে


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৯ অক্টোবর, ২০২১ ১১:৩১ : অপরাহ্ণ 247 Views

বাংলাদেশ এবং ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দুইটি প্রতিবেশী দেশ। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্য এখন গতিশীল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যোগ হচ্ছে নতুন রেল সংযোগ। এবার উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন আরও তিনটি রেল সংযোগ চালু হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে কাজ করছে রেলভবন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান দু’দেশের মধ্যে ৫টি রেল সংযোগ চালু রয়েছে। সর্বশেষ চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলসংযোগ চালুর পর এ পথে প্রাতি মাসে ১০ থেকে ১৫টি ট্রেন পাথর পরিবহন করছে। সময়ের সঙ্গে ট্রেন সংখ্যা বাড়ছে।

তথ্য মতে, করোনা শনাক্তের শুরুর দিকে স্থলবন্দর বন্ধকালীন প্রতিমাসে শতাধিক ট্রেন যোগে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহন করেছে ভারত। পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি পার্সেল ট্রেনও চালু হয়। রেলপথে পণ্য পরিবহন সময়সাশ্রী। একসঙ্গে অধিক পণ্য পরিবহনে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা খুশি। বাংলাদেশ রেলওয়ে পণ্য ট্রেন পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব অর্জন করে।

উত্তরপূর্ব ভারতের আগরতলার মধ্যে বাংলাদেশের ষষ্ঠ রেলসংযোগ আগামী বছরেই চালু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ফেনী ও ত্রিপুরার বিলোনিয়ার মধ্যে বন্ধ রেল সংযোগটিও চালুর পদকক্ষেপ নিয়েছে উভয় দেশ। কুলাউড়া-শাহবাজপুর হয়ে আসামের মৈষাশনের সঙ্গে সপ্তম রেল সংযোগের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। এটি সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রেন সরাসরি চলাচল করবে আসামসহ আশপাশের রাজ্যে। অপরদিকে, খাগড়াছড়ির রামগড়ে ফেনী নদীর ওপরে ভারতের নির্মিত মৈত্রী সেতুও উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ত্রিপুরা হয়ে উঠবে উত্তরপূর্ব ভারতের প্রবেশমুখ।

করোনার কারণে এক বছর পিছিয়ে গেছে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজ। রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭০ কিলোমিটার রেলপথের কাজ জোরকদমে চলছে। পদ্মা সেতু দিয়ে রেল যোগাযোগের পর উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে। ঢাকা-কলকাতায় সরাসরি ট্রেন চলাচলের সময়ও কমে আসবে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়েকে আমরা একটি জনবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে ত্রিপুরার আগরতলা ও আখাউড়ার মধ্যে রেলসংযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালের ২১ মে সমঝোতা স্মারক সই হয়। ভারতীয় অর্থায়নে নির্মিত ১৫.৫৪ কিলোমিটার রেলপথের ৫ কিলোমিটার ভারতে এবং বাকী অংশ বাংলাদেশে। কলকাতা-আগরতলার দূরত্ব প্রায় ১৫৫০ কিলোমিটার। শিয়ালদহ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে আগরতলা পৌঁছোতে সময় লাগে ৩৮ ঘণ্টা। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি চালু হলে দূরত্ব কমে গিয়ে ৬৫০ কিলোমিটারে দাঁড়াবে। সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টায় কলকাতা পৌঁছোনো সম্ভব হবে।

 

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!