বিনিয়োগ আকর্ষণে এগিয়েছে বাংলাদেশ


সিএইচটি টাইমস অনলাইন প্রকাশের সময় :৬ অক্টোবর, ২০১৯ ৯:৩৩ : অপরাহ্ণ 480 Views

বাংলাদেশে এক বছরের ব্যবধানে এফডিআই বেড়েছে ৪০ শতাংশ। ২০১৮ সালে দেশে এর পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এর আগের বছর এফডিআই বাবদ এসেছিল ১৪৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এক বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৫ লাখ ডলারে।

অর্থাৎ বিনিয়োগ আকর্ষণে এগিয়েছে বাংলাদেশ। অপরদিকে, এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি সহায়তা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। ২০১৭ সালে দেশে বিদেশি সহায়তা বাবদ আসে ৫৫৩ কোটি ডলার, ২০১৮ সালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৯৮ কোটি ডলারে।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক ঋণ পরিসংখ্যান-২০২০ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বিদেশি বিনিয়োগে আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশি হওয়ার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, গত বছর জাপানি তামাক কোম্পানি জাপান টোব্যাকো (জেটি) বাংলাদেশের ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো কোম্পানি কিনে নেয়ায় এ বছর বেশি বিনিয়োগ এসেছে। জেটি ইউনাইটেড টোব্যাকো কিনতে খরচ করেছে ১৫০ কোটি ডলার। এ ছাড়া গত বছর বিদ্যুতেও বড় আকারের বিনিয়োগ পাওয়া গেছে। বস্ত্র ও পোশাক খাতে বিনিয়োগ এসেছে ১৩০ কোটি ডলার।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দশ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে বিদেশি সহায়তা বেড়েছে সাড়ে চারগুণ। ২০০৮ সালে দেশে যেখানে বিদেশি সহায়তা বাবদ আসে ২০০ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার সেখানে ২০১৮ সালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৯৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারে। সব মিলিয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক সহায়তার স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১২ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে বিশ্বব্যাপী ১২১ টি দেশে বিদেশি সহায়তার স্থিতি ১০ শতাংশ বাড়লেও বাংলাদেশে তা বেড়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা থেকে বাংলাদেশ তুলনামূলক বেশি সহায়তা পেয়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০১৪ সালে দেশে এফডিআই এসেছে ২২৫ কোটি ডলার, ২০১৫ সালে তা বেড়ে ২৪৩ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। ২০১৬ সালে এফডিআই আসে ২১২ কোটি ডলার। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ২০১৮ সালে এফডিআই বেড়েছে ৬ শতাংশ। প্রতিবেশী দেশ ভারতে গত বছর এফডিআই এসেছে তিন হাজার ৯৪০ কোটি ডলার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে ১০ বছর ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটা ধারাবাহিকতা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও রয়েছে। বিনিয়োগের জন্য এখন উপযুক্ত জায়গা বাংলাদেশ। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে এখন বিনিয়োগের অন্যতম এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এসব কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বেড়েছে। বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার পথে এই স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে শীর্ষ দশ ঋণগ্রস্ত দেশের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড ও তুরস্ক।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!