শিরোনাম: নাইক্ষ্যংছড়িতে ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত প্রবারনা পূর্নিমা ও কঠিন চীবর দান উপলক্ষে স্থানীয় খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকদের মতবিনিময় ও শুভেচ্ছা উপহার বিতরন প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে আর্থিক অনুদান বিতরন করলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বান্দরবানে নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করলো বান্দরবান সেনা জোন বান্দরবানে বিশেষ টাস্কফোর্স এর অভিযান দুর্গাপূজা অশুভশক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তিতে রূপান্তরিত করবেঃ উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা লামায় মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা

এগিয়ে চলছে মেট্রোরেল


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ অক্টোবর, ২০২০ ১:০১ : অপরাহ্ণ 291 Views

করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে অর্ধেকের বেশি (প্রায় ১১ কিলোমিটার) ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান হয়েছে। ডিপোর অভ্যন্তরে ২.৭০ কিলোমিটার ব্যালাস্টেড রেল লাইন বসানো হয়েছে। এছাড়া ৫২ টি অবকাঠামো নির্মাণ কাজও এগিয়ে। ডিপো এলাকার পূর্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৩ শতাংশ। সব মিলে মেট্রোরেলে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে হয়েছে ৫০.৪০ শতাংশ।

রাজধানী জুড়ে তিনটি মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ চলছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুমাসে (জুলাই-আগস্ট) মেট্রোলের প্রকল্প তিনটিতে ব্যয় হয়েছে ২৬৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রয়েছে ৬ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। এ তিনটি মেট্রোরেল তৈরিতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজারের ৭৮৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

রাজধানীর যানজট কমাতে ও নগরবাসীর যাতায়াত আরামদায়ক দ্রুততর নির্বিঘ্ন করতে মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে যাত্রী নিয়ে ছুটবে মেট্রো ট্রেনে। উভয়দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন বহনে সক্ষমতা থাকবে মেট্রোরেলের। বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, রাজধানীর যানজট কমাতে মেট্রোরেল নির্মাণ খুবই ফলদায়ক হবে। কিন্তু প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ করা, রেল পরিচালনার ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা এবং পরিচালনার জন্য দক্ষজনবলের অভাব। তাছাড়া প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন পর্যায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি যাতে না হয় সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল ২২.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যা রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ চলমান রয়েছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৬.৩৭ শতাংশ। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪৩.৪৬ শতাংশ। তাছাড়া, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) এবং ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি হয়েছে ৩৪.৭৪ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৬ এর বর্ধিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই অংশের দৈর্ঘ্য ১.১৬কিলোমিটার।
প্রকল্প থেকে জানা যায়, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১.৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট এবং ৯ টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। ৯টি স্টেশনের সাবস্ট্রাকচার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। উত্তরা সেন্টার ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের কনস্ট্রাকশন ছাদ নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে উত্তরা উত্তর, পল্লবী, কাজীপাড়া এবং শেওড়াপাড়ায় স্টেশনের নির্মাণের কাজ চলছে। তাছাড়া উত্তরা সেন্টার স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের কাজ চলমান আছে। উত্তরা সেন্টার ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের মেকানিক্যাল ইলেকট্রিক্যাল ও প্লাম্বিং এর কাজ শুরু হয়েছে।

একইসাথে আগারগাঁও থেকে কাওরান বাজার পর্যন্ত ৩.১৯৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৩টি স্টেশন নির্মাণ কাজ চলমান আছে। তাছাড়াও এই অংশে পিয়ার কলাম, পাইল ক্যাপ, ফ্রামগেট স্টেশন নির্মাণ, পিয়ার হেড, প্রিকাস্ট সেগমেন্টসহ নানা কাজ চলমান রয়েছে।
কাওরান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪.৯২২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৪ টি স্টেশনের নির্মাণ করা হবে। এই অংশে পরিষেবা স্থানান্তর, চেকরোবিং, ট্রায়াল ট্রেঞ্চ, টেস্ট পাইল এবং সকল স্থায়ী বোরড পাইল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়াও পিয়ার কলাম, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের সাবস্ট্রাকচার নির্মাণ কাজ, পাইল ক্যাপ, পিয়ার হেড, সেগমেন্ট এর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

মেট্রো ট্রেনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন এ ছিদ্দিক বলেন, জাপানে মেট্রো ট্রেনের নির্মাণকাজ চলছে। ইতিমধ্যেই দুটি ট্রেনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আরও তিনটি মেট্রো ট্রেনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ এবং জাপান উভয় দেশের করোনা পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে এই পাঁচটি ট্রেন একবারে দেশে নিয়ে আসা হবে। সে ক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশে এবং জাপানের করোনা পরিস্থিতি এই অবস্থায় যদি বিরাজ করে তাহলে আমরা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে নিয়ে আসতে পারবো পাঁচটি মেট্রো ট্রেন।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির পর কাজ এখন পুরোদমে চলছে। চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রথম পর্যায়ে গাবতলী কনস্ট্রাকশন ইয়ারে ১০ শয্যা বিশিষ্ট এবং উত্তরাস্থ পঞ্চবটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ১৪ শয্যাবিশিষ্ট হসপিটাল নির্মাণ করা হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, সকল পর্যায়ের জনবলে কাজে যোগদানের জন্য কোভিড-১৯ এর উপসর্গ আছে কিনা তা যাচাই বাছাই করা হয়, তারপরেই কাজে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মেট্রোরেল চালুর পরিকল্পনা আছে সরকারের।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!